২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই রাজনৈতিক পালাবদল ঘটতে চলেছে বিহারে? তেমন সম্ভাবনাই ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। জেডিইউ এবং আরজেডি জোটের মধ্যে ফাটল আরও প্রশস্ত! নীতীশ কুমার যিনি ইতিমধ্যেই 'পল্টুরাম' বলে খ্যাত, তিনি আবার শিবির বদলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। বিজেপির সঙ্গে তাঁর পাকা কথা সারা।
জেডিইউ-র এক নেতা বলেছেন, বিহারের বেত্তিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার আগেই নীতীশ কুমার শিবির বদলে ফেলবেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিহারের কাটিহারে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা। ৪ ফেব্রুয়ারি বেত্তিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বড় জনসভা। সেই সভার আগেই বিহারের রাজনীতিতে আরও একবার পালাবদল চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন নীতীশ। বেত্তিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিতও থাকবেন।
কোন ফর্মুলায় বিহারে নীতীশ বিজেপির হাত ফের ধরেন? রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে এমন জল্পনা। সূত্রের খবর, চলতি বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হতে পারে। আবার এমনও সম্ভাবনা রয়েছে যে বিজেপি নীতীশকে আবার মুখ্যমন্ত্রী করতে রাজি হতে পারে। বিজেপি সূত্রে এমন সম্ভাবনার খবর আসছে যে নীতীশের ক্ষমতায় রাশ টানা হতে পারে। তাঁর ডেপুটি হবেন সুশীল মোদী। লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন। লোকসভার পাশাপাশি বিহারেও বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। বিজেপির তরফে গোটা বিষয়টি দেখছেন অমিত শাহ।
কেন ক্ষুব্ধ নীতীশ?
বলে রাখি, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া গঠনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। ২৮টি বিরোধী দলকে তিনিই একত্রিত করে ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে নিয়ে আসেন। ২০২৩ সালের জুনে পটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠক হয়। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের সভাপতিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গকে। যদিও নীতীশ শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব বা অন্য কোনও পদ নিতে চান না। নীতীশের অসন্তুষ্টির আর একটি কারণ, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা ৩০ জানুয়ারি বিহারে ঢুকছে। কিন্তু নীতীশকে আমন্ত্রণ করেনি কংগ্রেস।