ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় এবার সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। নবীন পট্টনায়কের বিজেডি প্রাথমিক ধারায় এগিয়ে থাকলেও বেলা যত বাড়ছে পরিস্থিতি বিজেপির অনুকূলে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিজেপি ৫৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেডি ৪২টি আসনে এবং কংগ্রেস ১০টিতে এগিয়ে রয়েছে। একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেপিপি।
এবার ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় বিজেপি এবং বিজেডির মধ্যে একটি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশিত ছিল৷ বেশিরভাগ এক্সিট পোলে বিজেপি এবং বিজেডির মধ্যে টাই করার পূর্বাভাস দিয়েছিল। নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি সরকার ২৪ বছর ধরে ওড়িশায় ক্ষমতায় রয়েছে। ওড়িশায় বিজেডি পিছিয়ে থাকলেও দলের প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ও লোকসভা আসনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। প্রাথমিক প্রবণতায় এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি তিনটি লোকসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ও লোকসভা আসনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক প্রবণতা অনুসারে, অন্ধ্রপ্রদেশে টিপিডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে। ১০৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। YSRCP ১৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে এক দফাতেই বিধানসভা নির্বাচন করিয়েছে কমিশন। ১৭৫ আসনের অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ১৩ মে। পাঁচ বছর আগে ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি কাছে গো-হারা হেরে রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র চন্দ্রবাবু নায়ডু। ১৫১টি আসন জিতে সরকার গড়েছিলেন জগনের দল। তবে এ বারের ভোটের আগে আবারও রাজ্য রাজনীতিতে ভেসে উঠেছেন চন্দ্রবাবু। সঙ্গে পেয়েছেন বিজেপি ও অভিনেতা পবন কল্যাণের জনসেনা দলকে। এই ত্রিশক্তির মোকাবিলায় রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে জগনের। এখন দেখার জগন ওই ত্রিশক্তিকে হারিয়ে সরকার গড়তে পারেন, না কি চন্দ্রবাবু প্রত্যাবর্তন করবে অন্ধ্রে।