বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভায় জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও বিরোধীদের দাবি, প্রথম ৯০ মিনিটের বক্তব্যে মণিপুর নিয়ে মাত্র কিছুক্ষণ কথা বলেছেন তিনি। এছাড়াও বিরোধী লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করার পরেই তিনি এনিয়ে বলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবের সময় বিরোধী INDIA জোটের সাংসদরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বক্তৃতার প্রাথমিক ৯০ মিনিটে মণিপুর ইস্যু এড়িয়ে গিছেন। যাইহোক, যখন INDIA ওয়াকআউট করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া দ্রুত ছিল। আমি আপনাদের ইতিবাচক ভাবে বলতে পারি – টেফলন আবরণ চলে গেছে, চকচকে ভাব অদৃশ্য হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আপনার আজকের বক্তৃতার পরে, একজন বেশ আত্মবিশ্বাসী যে ভারত: 'জিতেগা ভারত'।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন যে তারা দরিদ্রদের ক্ষুধা নিয়ে চিন্তিত নয়, শুধুমাত্র ক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত। তিনি এটাও আস্থা প্রকাশ করেছেন যে তার দল আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে জিতবে। ২০২৪ সালে আরেকটি অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হয়ে আসার জন্য বিরোধীদের উপহাসও করেছেন মোদী।
বৃহস্পতিবার সংসদে মণিপুর নিয়ে বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'মণিপুরে নিশ্চয়ই শান্তির সূর্য উঠবে। মণিপুর আবার নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। মণিপুরের মানুষকে আমার আবেদন, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। সংসদ সঙ্গে আছে। ওখানে সমস্যার সমাধান হবে। আমি মণিপুরের মা-বোনেদের বলছি। কিন্তু শুনে খারাপ লাগছে, এই সংসদ থেকেই কেউ কেউ ভারতমাতার মৃত্যু কামনা করছেন।'
উল্লেখ্য, গতকালই মণিপুর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বলেন মণিপুরে ভারত মাতাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিন মোদী তাঁর নাম না করেই সেই মন্তব্য টেনে প্রতি আক্রমণে বলেন, 'ওই মন্তব্যে ভারতবাসী দুঃখ পেয়েছে। ভারত মাতা সম্পর্কে কী সব ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে। কারা করছে, যারা দেশকে তিনভাগে ভাগ করেছিল। দেশ তাদের ভুলে যায়নি। ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগান যারা দেয়, তাদের সহায়তা করে এরা। কংগ্রেসের ইতিহাস ভারতমাতাকে ছিন্নভিতন্ন করার ইতিহাস।'