বাদল অধিবেশন সরগরম। মণিপুর হিংসা ঘিরে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে একজোট বিরোধী জোট INDIA। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি ও আলোচনার দাবি বিরোধীদের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার চেয়েছিল, মণিপুর নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির উপর আলোচনা হোক। দেখা যাচ্ছে, মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পৃথক রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে বিরোধী জোট। ঠিক কী রকম রণকৌশল?
সূত্রের খবর, বাদল অধিবেশনে কোনও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বা সাংসদ সংসদে কিছু বললেই বিরোধীরা স্লোগান দিতে থাকবেন। সূত্রগুলি আজতককে বর্ষা অধিবেশনের জন্য INDIA জোটের সম্পূর্ণ কৌশল জানিয়েছে। কৌশলের অধীনে, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদ যখন সংসদে বক্তব্য দেবেন, তখন বিরোধী সাংসদরা প্রতিবাদ করবেন এবং স্লোগান দেবেন। তবে এটাও ঠিক করা হয়েছে যে নীতিন গড়কড়ির মতো কিছু মন্ত্রী বা অন্যান্য দলের সাংসদরা যখন হাউসে কথা বলবেন, তখন বিরোধীরা শান্ত থাকবেন। বুধবার সেরকমি কিছু দেখা গেল সংসদে, যখন বিজেডি সাংসদ সস্মিত পাত্র বুধবার রাজ্যসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন, বিরোধী সাংসদরা সংসদের মর্যাদা বজায় রেখেছিলেন।
INDIA জোটের সঙ্গে জড়িত একটি দলের নেতা আজতককে জানিয়েছেন যে কৌশলের অংশ হিসাবে, বিরোধী সাংসদরা প্রশ্নোত্তর সময় মণিপুরের বিষয়টি উত্থাপন করবেন। তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন তোলার সময়, স্পিকারের কাছে যেতে হবে। এ সময় বিরোধী সাংসদরা মণিপুরের প্রসঙ্গ তুলবেন। রাজ্যসভায় ইতিমধ্যেই এই কৌশল দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিরোধীরা লোকসভা ও রাজ্যসভার জন্য আলাদা কৌশল তৈরি করেছে। মণিপুর ইস্যুতে কথা বলার জন্য কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চাপ দেওয়াই বিরোধীদের একমাত্র লক্ষ্য।
একটি তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন কী?
তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন তাকেই বলে যেখানে সদস্যরা মৌখিক উত্তর চান। ক্ষমতাসীন দল মৌখিকভাবে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলে তার ওপর প্রশ্ন করা যেতে পারে।
এই কৌশলের আওতায় আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব
এই কৌশলে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। যেখানে রাজ্যসভায় সরকারের উত্তর পেতে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর বিরোধী দলগুলিকে আরও ঐক্যবদ্ধ দেখা যাচ্ছে এবং আরও সমন্বয় নিয়ে সরকারকে ঘেরাও করছে। কোথাও কোথাও বিরোধীদের এই কৌশল সফল হবে বলে মনে হচ্ছে।
কেন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলো?
মোদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমতাবস্থায় বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে সফল হবে না তা স্পষ্ট। প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকারের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কেন বিরোধীরা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনছে? আসলে, বিরোধী দলগুলি মনে করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর ইস্যুতে হাউসে কোনও উত্তর দিচ্ছেন না, কিন্তু যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে, তখন প্রধানমন্ত্রীকে হাউসের অভ্যন্তরে এর জবাব দিতে হবে। এ কারণে সব বিরোধী দলগুলির ম্যাজিক সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও লোকসভায় এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে।