প্রয়াত ওয়াগবকরি গ্রুপের কর্তা পরাগ দেশাই। বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। রবিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদাবাদে। কয়েকদিন আগে পথ কুকুরের তাড়া খেয়ে পড়ে যান তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্রেন হেমারেজ ধরা পড়ে। অসুস্থতা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
ওয়াগবকরি গ্রুপের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবর সন্ধেবেলা পরাগ দেশাই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে পথ কুকুররা তাড়া করে। সারমেয়দের থেকে বাঁচতে পরাগ পালাতে যান। তখন পা পিছলে পড়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে তড়িঘড়ি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেই হাসপাতাল থেকে আরও বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অস্ত্রপচারও হয়। সেই থেকে ভেন্টিলেটরেই ছিলেন পরাগ।
২৩ অক্টোবর সকাল ৯ টা নাগাদ তালতেজ শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। 'ওয়াগ বকরি চায়' ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ দেশাইয়ের ছেলে ছিলেন পরাগ দেশাই। তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগের হাত ধরে এই সংস্থা একাধিক চূড়া ছুঁয়েছে সাফল্যের। সংস্থার টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ১৫০০ কোটিতে। পরাগের মৃত্যুতে বাণিজ্যিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, ভারতে পথ কুকুরদের কারণে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত সামনে আসছে। তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। পরাগ দেশাইয়ের মৃত্যুর পর পথ কুকুরদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের সরব হয়েছেন অনেকে। যদিও শুধু ভারত নয়, আমেরিকাতেও ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটটি শহরে কুকুরের কামড়ের ৬৯,৫২৫টি ঘটনা বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। এই গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন যে, কুকুরের কামড়ের ঘটনা গ্রীষ্মে বাড়লেও বর্ষায় বা শীতে কমে যায়।
গবেষকদের দাবি, গ্রীষ্মে উচ্চ অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের ফলে কুকুরের মধ্যে উচ্চতর সেক্স-স্টেরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেক্স-স্টেরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধিকে কুকুরের এই অস্বাভাবিক আগ্রাসনের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। কুকুর ছাড়াও ইঁদুর এবং রেসাস বাঁদরের উপরেও এই অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের একই রকম প্রভাব লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, কুকুরের কামড়ের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধির পিছনেও তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের প্রভাব রয়েছে।