সংসদ ভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা আত্মসমর্পণ করেছেন। তদন্তে জানা গেছে যে ললিত ঝা সেই চারজনের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন যারা সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পুলিশ ললিতের কাছ থেকে কোনও মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে দিল্লি এসে আত্মসমর্পণের আগে ললিত সেখানে চারটি মোবাইল ফোনই নষ্ট করে ফেলেন। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ললিত কুচমনে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর বন্ধু মহেশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
ললিতকে রাতে থাকার জন্য একটি ঘর দিয়েছিলেন মহেশ। তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সংসদ ভবনে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালেই ললিত সব ফোন নষ্ট করে দেন। তবে, পুলিশ ললিতের কথায় পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না এবং প্রতিটি কোণ থেকে বিষয়টি তদন্ত করছে। এখন যে কোনও পরিস্থিতিতে চার অভিযুক্তের ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। স্পেশাল সেলের দল আজ মহেশ ও ললিতকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে।
এর আগে গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তের সাত দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, তদন্ত অন্য পথে চালিত করতে ললিত মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহেশের খুড়তুতো ভাইকে আটক করেছে। একই সময়ে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে মহেশ ও ললিত আত্মসমর্পণ করতে দিল্লি আসছেন।
সংসদের ভিতরে যাওয়ার আগে এবং বিক্ষোভের আগে চার অভিযুক্ত মনোরঞ্জন, সাগর, নীলম এবং অমল তাঁদের ফোন ললিতের কাছে রেখেছিলেন। ললিত ঝা বাইরে ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁদের ভিডিও রেকর্ড করছিলেন। স্মোগ ক্যান নিয়ে বিক্ষোভের পর পুলিশ চার অভিযুক্তকে ধরার সঙ্গে সঙ্গে সবার মোবাইল ফোন নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ললিত। তদন্তে আরও জানা গেছে যে ললিত ঝা সংসদ ভবনের প্রতিবাদের ভিডিওটি এক এনজিও-র মালিকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করেই হানা দেওয়া হয়েছিল সংসদে। পুলিশ আরও উল্লেখ করেছে যে অভিযুক্তরা দৃশ্যতই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ মোকাবিলাতে তৈরি ছিলেন। এটা মনে হচ্ছে যে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে কী জবাব দেবে সে সম্পর্কে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।