শেষপর্যন্ত লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা। প্রোটেম স্পিকার ভর্ত্রিহরি মাহতাব তাকে ধ্বনিভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন। স্পিকার ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে অভিবাদন জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী তার নাম প্রস্তাব করেন। লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই বেলা ১১ নাগাদ বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লাকে স্পিকার হিসাবে নির্বাচন করার জন্য লোকসভায় মোশন আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন ওম বিড়লা স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর, সংসদের নেতা নরেন্দ্র মোদী এবং বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী তাঁকে স্পিকারের আসনে নিয়ে যান। ওম বিড়লার আসনে পৌঁছতেই প্রোটেম স্পিকার ভর্ত্রিহরি মাহতাব বলেন, এটা আপনার চেয়ার, আপনারই সামলাতে হবে। এরপর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রোটেম স্পিকার ভর্ত্রিহরি মাহতাব, কর্মী ও সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিন ওম বিড়লা কণ্ঠভোটে লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) প্রার্থী ওম বিড়লা বুধবার নির্বাচনে কংগ্রেসের কোডিকুনিল সুরেশ (কে সুরেশ) কে পরাজিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভার স্পিকার পদের জন্য ওম বিড়লার নাম প্রস্তাব করেছিলেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি তা অনুমোদন করেন। একই সময়ে, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত লোকসভার স্পিকার পদের জন্য কোডিকুনিল সুরেশের নাম প্রস্তাব করেছিলেন এবং আরএসপি নেতা এন কে প্রেমচন্দ্রন তা অনুমোদন করেছিলেন, কিন্তু কে সুরেশ নির্বাচনে হেরে যান
কী বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?
ওম বিড়লা লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মীদি এবং লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বিড়লাকে চেয়ার পর্যন্ত গিয়ে স্বাগত জানান। ওম বিড়লাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমি পুরো হাউসকে অভিনন্দন জানাই। আমরা সকলের আস্থা আছে যে আপনি আগামী পাঁচ বছরে আমাদের পথ দেখাবেন। তিনি আরও বলেন, "দ্বিতীয়বার লোকসভার স্পিকার পদে দায়িত্ব নেওয়া নিজেই একটি রেকর্ড। বলরাম জাখড় এর আগে মাত্র দুবার লোকসভার স্পিকার হয়েছেন। বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বা স্পিকার হওয়ার পর জয়ী হননি, কিন্তু আপনি (ওম বিড়লা) নির্বাচনে জিতেছেন।
গত লোকসভায় ওম বিড়লা অন্যতম সক্রিয় সাংসদ ছিলেন এবং স্পিকার হিসাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যও পরিচিত ছিলেন। রাজস্থানের কোটা থেকে তিনবারের সাংসদ ওম বিড়লা রাজস্থানের তিনবারের বিধায়কও ছিলেন। তিনি BJYM-এর জাতীয় সহ-সভাপতিও ছিলেন। এমপি হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে তিনি ৮৬ শতাংশ উপস্থিতি সহ ৬৭১টি প্রশ্ন করেন এবং ১৬৩টি বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার এমপি হওয়ার পর, তাকে লোকসভার স্পিকার করা হয়েছিল। নতুন সংসদ ভবনটি বিড়লার আমলে নির্মিত হয়েছিল। তিনটি ফৌজদারি আইন, ৩৭০ ধারা অপসারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সহ অনেক ঐতিহাসিক আইনও পাশ হয়েছে। তিনি ১০০ জন লোকসভা সাংসদের বরখাস্ত এবং সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।