আগে তিনি ছিলেন বামপন্থী। একটা সময় মন দিয়ে বাম রাজনীতি করতেন। তবে এখন তিনি মোদীর অনুরাগী। সাহিত্য আজতকের মঞ্চে অভিনেতা পীযূষ মিশ্রের মিলিয়ে দিলেন জ্যোতি বসু ও নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে শোনা গেল,'সত্তর দশকের পর দুজন নেতাই দেখেছি। একজন জ্যোতি বসু, অন্যজন নরেন্দ্র মোদী।'
বলিউডের দাপুটে অভিনেতা পীযূষ মিশ্র। শুধু অভিনেতাই নন, একই সঙ্গে গায়ক গীতিকার, সুরকার, সংলাপ লেখকও। একটা সময় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু মোহভঙ্গ হয়েছে পীযূষের। সে কথা স্বীকার করেছিলেন আগেই। সত্যিই কি তাঁর মনে হয় বামপন্থা অনুসরণ করে ভুল করেছেন? জবাবে পীযূষ বললেন,'ভুল কিছু হয়নি। অনেক কাজও করেছি। সেই কাজগুলি প্রকাশ্যে আসেনি। নয়ের দশকে বহু গান লিখেছিলাম। ২০১০ সালে এই গানগুলি বাইরে আনার সাহস হয়েছিল। বামপন্থী ছিলাম। এরা খুবই বদমাশ। আমার রক্ত চুষে নিয়েছিল।'
বামপন্থা থেকে এখন গেরুয়াপন্থা? এমন 'মেরুবদল' হয়নি। তবে পীযূষ এখন মোদীর অনুরাগী। তাঁর কথায়,'আমার কোনও রাজনৈতিক আদর্শ নেই। কিন্তু মোদীকে আমি খুবই পছন্দ করি। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতে চমৎকার উন্নতি হয়েছে। আমি বিজেপি বা কংগ্রেসকে সমর্থন করি না। তবে হ্যাঁ, মোদীর জন্যই বিজেপিকে ভোট দিই। ব্যক্তি হিসেবেই তাঁকে সম্মান করি। ঈশ্বর ছাড়া আমি কারওর অন্ধভক্ত নই।'
মোদীকে পছন্দ করার কথা ভাইরাল হওয়ার পর তিনি যে বামপন্থীদের আক্রমণের অভিমুখ হয়েছিলেন তাও জানালেন পীযূষ। বলেন,'আমার একটা সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছিল। এরা আমার পিছনে লেগেছিল। এরা এরকমই। কার্ল মার্ক্স থেকে শুরু করে ট্রটস্কি, স্তালিন- সব বামপন্থীই একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন।'
জ্যোতি বসুর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকেও একবন্ধনীতে ফেললেন পীযূষ। মনে করিয়ে দেন,'সত্তর দশকের পর দু'জন নেতাই দেখেছি। একজন জ্যোতি বসু, অন্যজন নরেন্দ্র মোদী। কলকাতায় শো করতে যেতাম। তখন ২৫ পয়সার চা খেতাম। ১ টাকা দিতাম। ফেরত দিত ৭৫ পয়সা। সেই সময় ৫ পয়সা চলত। জ্যোতি বসু দারুণ লিডার। ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওঁর নিজের দলই না করে দিয়েছিল। এখান (নয়াদিল্লি) থেকে কলকাতা যেতে যেতে জ্যোতি বসু আক্ষেপ করেছিলেন যে বামেরা ঐতিহাসিক ভুল করল।'