Advertisement

PM Modi Speech at Parliament: 'স্টেশনে রাত কাটানো ছেলেটিকে সংসদে পৌঁছে দিয়েছে, গণতন্ত্রের শক্তি,' বললেন মোদী 

সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সূচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদ ভবনের গুরুত্ব, ইতিহাস এবং গণতন্ত্রের ক্ষমতা স্মরণ করেন তিনি। পুরনো সংসদ ভবন ছাড়ার মুহূর্তে যেন কিছুটা আবেগঘন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কখনও এটা কল্পনাও করিনি। কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি, সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের উপর ভরসাই রেল প্ল্যাটফর্মে দিন কাটানো এক সামান্য শিশুকে সংসদে পৌঁছে দিয়েছে। 

মোদী: আমি তখন কল্পনাও করিনি, কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি, সাধারণ মানুষের এর উপর ভরসাই রেল প্ল্যাটফর্মে দিন কাটানো এক সাধারণ শিশু সংসদে পৌঁছে দিয়েছে।
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 18 Sep 2023,
  • अपडेटेड 12:00 PM IST
  • সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সূচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
  • সংসদ ভবনের গুরুত্ব, ইতিহাস এবং গণতন্ত্রের ক্ষমতা স্মরণ করেন তিনি।
  • প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করার অভ্যাস কিছু মানুষের রয়েছে। স্বাধীনতার সময় থেকেই এটা চলে আসছে। এখনও চলছে। কিন্তু ভারত তার ক্ষমতা প্রমাণ করেছে। 

PM Modi Speech at Parliament: সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সূচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদ ভবনের গুরুত্ব, ইতিহাস এবং গণতন্ত্রের ক্ষমতা স্মরণ করেন তিনি। পুরনো সংসদ ভবন ছাড়ার মুহূর্তে যেন কিছুটা আবেগঘন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কখনও এটা কল্পনাও করিনি। কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি, সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের উপর ভরসাই রেল প্ল্যাটফর্মে দিন কাটানো এক সামান্য শিশুকে সংসদে পৌঁছে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,

  • দেশের ৭৫ বছরের সংসদীয় যাত্রার পুনরায় স্মরণ করে এবং নতুন সদনে সেই অনুপ্রেরণাদায়ক সময়, ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে স্মরণ করে আমরা এখন এগিয়ে যেতে চলেছি। আমরা সবাই, এই ঐতিহাসিক ভবন থেকে বিদায় নিচ্ছি। স্বাধীনতার আগে, এই ভবন ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের স্থান ছিল। স্বাধীনতার পর এটি সংসদ ভবনের পরিচিতি পায়। এটি সত্যি যে, এই ভবনের নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিদেশী শাসকদের ছিল। কিন্তু এই বিষয়টি আমরা কখনও ভুলতে পারব না। আমরা গর্বের সঙ্গে আমরা বলতে পারি, এই ভবনের নির্মাণে আমাদের দেশবাসীরই কষ্টের ঘাম, পরিশ্রম ও টাকা লেগেছিল। 
  • এই ৭৫ বছরের আমাদের যাত্রায় অনেক গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রক্রিয়ার সুন্দর সম্পাদনা হয়েছে। এই ভবনের সকলে এই কাজে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেছেন। সাক্ষী থেকেছেন। আমরা নতুন ভবনে যাচ্ছি বটে, কিন্তু অমৃতকালের প্রথম ধাপের প্রকাশ, দেশে এক নতুন বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস, নতুন উদ্যম, নতুন স্বপ্ন ও নতুন সংকল্প ও দেশের নতুন ক্ষমতায় পরিপূর্ণ। চারদিকে আজ ভারতবাসীর এই এগিয়ে আসার আলোচনা হচ্ছে। এটি আমাদের ৭৫ বছরের সংসদের ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক মোড়।
  • চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে, শুধু ভারতই নয়, পুরো দেশই অভিভূত। এতে ভারতের ক্ষমতার এক নতুন রূপ, যা আধুনিকতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আমাদের বিজ্ঞানীদের ক্ষমতা, ১৪০ কোটি দেশবাসীর সংকল্পের সঙ্গে জড়িত, তা দেশ ও বিশ্বে এক নতুন প্রভাব বিস্তার করেছে। এই সংসদ ভবনের মাধ্যমে আমি আরও একবার দেশের বিজ্ঞানীদের কোটি কোটি অভিনন্দন জানাতে চাই। 
  • ভারতের ফেডেরাল কাঠামো, বৈচিত্রে ২০০-র বেশি সামিট, দেশের আলাদা আলাদা সরকারের প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে পড়েছে। এটি দেশের গৌরব বাড়াবে। আর ভারত এর অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় আফ্রিকান ইউনিয়ন তার সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে। আমি সেই আবেগঘন মুহূর্ত ভুলতে পারব না যে, আফ্রিকা সদস্য হওয়ার পর সেখানকার প্রেসিডেন্ট বলছিলেন যে তিনি কেঁদে ফেলবেন। ভাবুন, কত বড় আশা পূরণ করেছে ভারত।
  • ভারতের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করার অভ্যাস কিছু মানুষের রয়েছে। স্বাধীনতার সময় থেকেই এটা চলে আসছে। এখনও চলছে। কিন্তু ভারত তার ক্ষমতা প্রমাণ করেছে। 
  • এই সংসদ ভবন ছাড়ার এই মুহূর্তে আমার মন-মস্তিষ্ক অনেক ভাবনা, স্মৃতিতে জড়িয়ে। নানা অম্ল-মধুর স্মৃতি, নানা আনন্দের মুহূর্ত এর সঙ্গে জড়িয়ে। আর সেই কারণে এটি আমাদের গৌরবও বটে।
  • স্বাধীন ভারতের নবনির্মাণে জড়িত অনেক ঘটনা এই ৭৫ বছরে এই সংসদ ভবনেই রূপ পেয়েছে। আজ আমরা এই ভবন ছাড়ার এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতের সাধারণ মানুষের যে ভালবাসা মিলেছে, সেটা গ্রহণ করার, স্বীকার করারও একটা সময় এসেছে। 
  • আমি প্রথমবার যখন সংসদ সদস্য হয়েছিলাম এবং একজন সাংসদ হিসাবে এই ভবনে প্রবেশ করেছিলাম তখন স্বাভাবিকভাবেই আমি এই সংসদ ভবনের প্রবেশ পথে আমার মাথা ছুঁইয়ে প্রবেশ করেছিলাম। এই লোকতন্ত্রের মন্দিরে প্রণাম করে পা রেখেছিলাম। আমি কখনও কল্পনাও করিনি, কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি, সাধারণ মানুষের এর উপর ভরসাই রেল প্ল্যাটফর্মে দিন কাটানো এক সামান্য শিশু সংসদে পৌঁছে দিয়েছে। 
  • আমরা সবাই, আমাদের আগের অনেকেও এই ক্ষমতার সাক্ষী। সময়ের সঙ্গে আমাদের সংসদের কাঠামো বদলেছে। সদস্য বেড়েছে। সমাজের সমস্ত অংশের প্রতিনিধি, বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। অনেক ভাষার মানুষ রয়েছে। সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ, সমস্ত আর্থিক অবস্থার মানুষ, গ্রাম হোক, শহর হোক, দলিত হোক, আদিবাসী হোক, মহিলা হোক... ধীরে ধীরে সব ধরনের সংসদ অংশগ্রহণ করেছেন।
  • আগে মহিলাদের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মা-বোনদের সংসদে যোগদান বেড়েছে। তাঁরা সংসদ ভবনের গৌরব বাড়িয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের বেশি প্রতিনিধি দুই সংসদ ভবনে যোগ দিয়েছেন আজ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ মহিলা সাংসদ এই দুই ভবনের গরিমা বাড়িয়েছেন। 
  • এই ভবনে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত টানা ৪৩ বছর সাংসদ হয়েছিলেন। আবার এই সংসদ ভবনের শফিকুর রহমান ৯৩ বছর বয়সেও প্রথম এসেছিলেন। এগুলি সংসদের গৌরবকে আরও মহিমান্বিত করে। 
  • আমরা পরিবারের মতো। তাই সংসদ ছাড়ার বহু বছর পর দেখা হলেও আমরা সেই দিনটি ভুলি না। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement