সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনকাণ্ডে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। গত সপ্তাহ থেকে রোজই বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে পণ্ড হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হচ্ছেন বিজেপি সাংসদেরা। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংসদদের পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের আক্রমণের সময় শালীনতা বজায় রাখতে দলীয় সাংসদদের পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দলের সাংসদদের উদ্দেশে মোদী বলেছেন, 'ওরা (বিরোধী) সরকার উৎখাত করার কথা ভাবছে। আমরা দেশ গড়ার কথা ভাবছি। সমালোচনার জবাব দেওয়ার সময় শালীনতা বজায় রাখুন।' এদিন বিজেপির সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারও তেতে রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। এই ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জেরে বিরোধী দলের মোট ৯২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। তারই ফল স্বরূপ এ বার শীতকালীন অধিবেশন বয়কটের ভাবনা ইন্ডিয়ার। ৯২ জন নিলম্বিত সাংসদের মধ্যে লোকসভার ৩৩ জন এবং রাজ্যসভার ৪৫ জন সাংসদ রয়েছেন। এক দিনে এই প্রথম এত সংখ্যক সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার দলের সাংসদদের বৈঠকে বিশেষ বার্তা দিলেন মোদী।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারই রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র নেতারা। বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্য হল সরকার থেকে আমাদের উৎখাত করা। আমাদের লক্ষ্য হল দেশের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া।'
সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন তিনি। অন্য দিকে, এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মোদী সরকারের নীতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে কটাক্ষ করেছেন সনিয়া-পুত্র। এই ঘটনায় বাংলার কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ললিত পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আলোচনার দাবিতে সরব বিরোধী সাংসদেরা।