আরও একবার বিরোধী জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ইউপিএ জমানার কুকর্ম গোপন করতেই নতুন নাম নিয়েছে বিরোধীরা। ইউপিএ-র জায়গায় নাম রাখা হয়েছে আইএনডিআইএ। যাতে আগের কুকর্ম ভুলিয়ে নতুন করে মানুষকে লুঠ করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজস্থানে প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বলেন,'একটা নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেটা হল, নামবদল। রাজস্থানের মানুষরা ব্যবসায়ী, তাঁরা জানেন আগে দিনে কোনও কোম্পানি প্রতারণা করে ধরা পড়ে গেলে নাম বদলে নিত। সেই প্রতারক সংস্থা নতুন নামের বোর্ড লাগিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করে মানুষদের বোকা বানাত। নাম বদলে নিজেদের ব্যবসা চালাত। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা এই ধরনের প্রতারক সংস্থাকে নকল করছে। ইউপিএ-র কুকর্ম যাতে মানুষের মনে না পড়ে, তাই ইউপিএ থেকে আইএনআইডিএ করে দিয়েছে।'
তিনি যোগ করেন,সন্ত্রাসের সামনে নত হয়েছিল এরা। কৃষকদের ঋণ মকুবের নামে প্রতারণা করেছিল। গরিবদের সঙ্গে ছল করেছে। সেই সব ভুলিয়ে দিতেই নতুন নাম রাখা হয়েছে।
বিরোধী জোটের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, এমনকি জঙ্গি সংগঠনগুলিরও তুলনা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়,'দেশের শত্রুদের মতোই এদের কটূকৌশল। আইএনডিআইএ নামে এসেছে এরা। এর আগেও ইন্ডিয়া নামে পাপ লোকানোর চেষ্টা হয়েছে। এ দেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ছিল। ভারতভক্তির জন্য নয়, মানুষকে লুঠ করার জন্য ইন্ডিয়া নাম ব্যবহার করা হয়েছিল। মনে আছে, কংগ্রেসের শাসনকালে সিমি, স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছিল। নামে ইন্ডিয়া থাকলেও লক্ষ্য ছিল, ভারতকে সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস করা। তাদের কুকর্ম সামনে আসার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সিমিকে। তার পর নতুন নাম নিয়ে এসেছিল। সিমিই নাম বদলে হয়েছে পিএফআই, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। নাম নতুন কিন্তু কাজ সেই পুরনো।'
এ দিন দুর্নীতি ও মহিলা নির্যাতনের অভিযোগে রাজস্থান সরকারকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, কংগ্রেস সরকার চালানোর নামে লুটের দোকান চালিয়েছে। লুটের এই দোকানের সর্বশেষ উদাহরণ রাজস্থানের লাল ডায়েরি। কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির সব হিসাব রয়েছে এই লাল ডায়েরিতে। অনেকে বলছে, লাল ডায়েরির পাতা খুললে কংগ্রেস সরকারটাই পড়ে যাবে। লাল ডায়েরির নাম শুনে কংগ্রেসের বড় বড় নেতাদের গলদঘর্ম দশা।'
নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,'মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা দেখে আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করে গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে। দলিত বোনকে তাঁর স্বামীর সামনে গণধর্ষণ করা হয়, অভিযুক্তরা ভিডিও করে। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই ভিডিও ভাইরাল করে দিয়েছে অপরাধীরা। রাজস্থানে ছোট মেয়ে, এমনকি স্কুলের শিক্ষিকারাও নিরাপদ নন। আইনশৃঙ্খলার রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারছে না কংগ্রেস। একের পর এক সংঘর্ষের খবর রাজস্থানের মতো শান্তিপূর্ণ রাজ্যের সুনাম নষ্ট করেছে।'