শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট ডাউন। আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই তৃতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে শান্তনু ঠাকুরকে ফের মন্ত্রী করা হতে পারে। অন্য দিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও মন্ত্রী করা হতে পারে বলে খবর। কাদের মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেছে মোদী সরকার। কীভাবে সাংসদরা জানতে পারলেন তাঁরা মন্ত্রী হচ্ছেন, জেনে নিন...
জানা গিয়েছে, যেসব সাংসদদের মন্ত্রী করা হচ্ছে, তাঁরা ক্যাবিনেট সেক্রেটারির ফোন পেয়েছেন। ফোনে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফোনের পাশাপাশি, একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সাংসদদের কাছে। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী আপনার নাম প্রস্তাব করেছেন...'।
প্রসঙ্গত, এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই শরিকদলদের উপর ভরসা করেই সরকার গড়তে হবে মোদীকে। ইতিমধ্যেই সরকার গঠনে বিরোধী শিবিরে গত ক'দিনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির উপর অনেকটাই নির্ভরশীল মোদী-শাহরা।
মন্ত্রীপদ বণ্টন নিয়ে এবার বাড়তি 'সাবধানী' প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকের পর জোটের নেতা নির্বাচিত হন মোদী। তারপরে বক্তৃতায় মোদী বলেছিলেন, 'গত ক'দিনে যা সব ঘটেছে, তার একটাও সত্যি নয়। কেউ এটা বলছে, কেউ ওটা বলছে...১০ বছরে এসব করার সুযোগ পায়নি আসলে।' এরপরেই মোদী বলেন, 'এসব লোকেরা আপনাদের কাছে প্রস্তাব দিতে পারেন মন্ত্রীপদ দেওয়ার, মনে হতে পারে, মন্ত্রী হওয়ার এটাই রাস্তা, তাই ভুল করে ওদের হাত ধরে নিই। ভাবতেও পারবেন না, কী ভুল করে ফেলবেন...অনেক সময় এটাও হতে পারে, প্রযুক্তির জন্য যে, আমার সই করা তালিকা বেরিয়ে গেল, এখন যে কেউ সরকার গড়তে উঠেপড়ে লেগেছে। মন্ত্রীপদের প্রস্তাব দিচ্ছে, পদের প্রস্তাব দিচ্ছে। আপনাদের সকলকে বলছি, এসব চেষ্টা সফল হবে না। এদের ফোন এলে যাচাই করে নিন...এসব করার অনেকে রয়েছেন...সব সাংসদদের অনুরোধ, এসব ষড়যন্ত্রের শিকার হবেন না।'