ত্রিপুরায় ক্রমশ বিক্ষুব্ধ হচ্ছেন সুদীপ রায় বর্মন। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে মুখও খুলতে শুরু করেছেন তিনি। ফলে ততই জল্পনা বাড়ছে তাঁর তৃণমূলে ফেরার। এক সময়ে তিনি তৃণমূলেই ছিলেন, পরে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বিজেপিতে বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবেই রয়েছেন। মন্ত্রীত্বও খোয়াতে হয়েছে তাঁকে। ফলে বেশ কিছু দিন ধরেই বেসুরো তিনি। ইদানিং সেটা আরও বেড়েছে। ফলে ক্রমশ ধোঁয়াশা বাড়ছে সুদীপ রায় বর্মনের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে। অন্যদিকে, সুদীপ বিক্ষুব্ধ থাকলেও তাঁর কোনও দাবিকে মানতে দেখা যাচ্ছে না বিজেপিকে।
ক্রমশ বিক্ষুব্ধ সুদীপ
সদ্য বিজেপি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ত্রিপুরা আসেন। সেখানে দলের সমস্ত বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন। খবরে প্রকাশ, সেই বৈঠক শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে সুদীপ রায় বর্মন বেরিয়ে যান। মূলত ত্রিপুরার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। ৩ জন বিধায়ককে মন্ত্রীপদে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই তালিকায় সুদীপ রায় বর্মনের কোনও অনুগামী ছিল না। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে আগরতলায় নিজের প্রায় ২ হাজার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক ছিলেন। ফলে ক্রমশ সুদীপের অবস্থান ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। একসময়ে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন সুদীপ রায় বর্মন। কিন্তু ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার আসার পরে তাঁকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ক্রমশ বিক্ষুব্ধ ছিলেন এই বিধায়ক।
তৃণমূলের এখন মূল লক্ষ্য ত্রিপুরা
বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের এখন মূল লক্ষ্য ত্রিপুরা। ক্রমশ সেখানে সংগঠন বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। ইদানিং বেশ কিছু কর্মসূচিও নিয়েছে তাঁরা। বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলার অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের একাধিক নেতা তৃণমূলের হাত ধরেছেন। এই অবস্থায় তৃণমূলের তরফ থেকে একাধিকবার দাবি করা হচ্ছে, একাধিক বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ যোগ দেয়নি। মাত্র ১ দিন আগে বাংলায় বিজেপিতে বড় ভাঙণ ধরিয়ে ২ বিধায়ককে টেনে নিয়েছে তৃণমূল। এখন ত্রিপুরায় কী করবে ঘাসফুল শিবির কিংবা সুদীপের অবস্থানই বা কী, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।