Pragyan's Discovery in Moon: ভারতের চন্দ্র অভিযানে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের পৃষ্ঠে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছে! মিশনের অংশ হিসাবে প্রজ্ঞান রোভার, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কাছে বেশ কয়েকটি উপাদান সনাক্ত করেছে যা আশা জাগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে সালফার আবিষ্কারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেনের উপস্থিতিও সনাক্ত করেছে রোভার প্রজ্ঞান।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) এই ফলাফলগুলি নিশ্চিত করেছে যা ভারতের চন্দ্রযান প্রোগ্রামের একটি দৃষ্টান্তমূলক সাফল্যকে চিহ্নিত করেছে। রোভারে থাকা লেজার-ইনডুসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS) যন্ত্রটি এই আবিষ্কারগুলিতে সহায়তা করেছিল।
এই বৈজ্ঞানিক কৌশলটি উপাদানগুলির গঠন বিশ্লেষণ করে তীব্র লেজারের সাহায্যে একটি লোকাল প্লাজমা তৈরি করে। এই প্লাজমা থেকে নির্গত আলোর ছটা বিশ্লেষণ করা হয় এবং এর উপাদান সনাক্ত করা হয়। কারণ, এই প্লাজমা থেকে নির্গত আলোর ছটা বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন খনিজ উপাদানের উপস্থিতি সম্পর্কে নিষ্চিত হওয়া যায়।
সালফার সনাক্তকরণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য! কারণ, এটি চাঁদের পরিবেশে অপেক্ষাকৃত একটি বিরল উপাদান। দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে এর উপস্থিতি জলের বরফের অস্তিত্ব নির্দেশ করতে পারে, যা ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযান এবং সম্ভাব্য মানব বাসস্থানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সালফার সাধারণত আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ থেকে উদ্ভূত হয় এবং চাঁদে এর উপস্থিতি চাঁদের ইতিহাস এবং গঠন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য দিতে পারে। এই উপাদানগুলির উপস্থিতি চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের সম্ভাব্য সংস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
রোভারে থাকা লেজার-ইনডুসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS) যন্ত্রটি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্রোমিয়াম এবং টাইটানিয়ামের উপস্থিতি সনাক্ত করেছে। এর পাশাপাশি, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেনের উপস্থিতিরও প্রমাণ মিলছে। এই ফলাফলগুলি চাঁদের মৌলিক গঠন এবং ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে, ইসরো চাঁদে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে। যদি চাঁদে হাইড্রোজেন পাওয়া যায় তবে এটি আরেকটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হবে। কারণ, একটি সম্ভাব্য পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎস হল হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন বেশিরভাগই তেল পরিশোধন এবং রাসায়নিক উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। চাঁদে হাইড্রোজেনের খোঁজ মেলা মহাকাশে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে চালু হওয়া চন্দ্রযান-৩ মিশন, চাঁদে সফলভাবে স্পর্শ করে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এর এক একটি আবিষ্কারের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব!