আজ অসমে ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার পদযাত্রার সময়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাহুল গান্ধী। রবিবার সন্ধ্যায় নগাঁওয়ের আমবাগান এলাকায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একদল ব্যক্তি বিক্ষোভ দেখায়। 'রাহুল গান্ধী গো ব্যাক' স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি দোকানে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী। দোকানের বাইরে বিপুল সংখ্যক লোক। সকলে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। বিক্ষোভকারীদের হাতে পোস্টার ও ব্যানার ছিল।
এই ঘটনার আগে রাহুল গান্ধী নগাঁওতে একটি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। রাহুলের অভিযোগ, অসমের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মিছিলে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায়। তিনি বলেন, ২০-২৫ জন বিজেপি কর্মী লাঠি নিয়ে আমাদের বাসের সামনে এসে পড়েন। আমি বাস থেকে নামতেই তাঁরা পালিয়ে যান। ওদের যদি ধারণা থাকে যে বিজেপি ও আরএসএসকে কংগ্রেস ভয় পায়, তাহলে ওরা স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, যত খুশি পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড লাগাক, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে ভয় পাই না।
আজ সোনিতপুরে রাহুল গান্ধীর বাস থামিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের মুখে 'মোদী-মোদী' স্লোগানও শোনা যায়।
কয়েকজনের হাতে বিজেপির পতাকাও ছিল। এমন সময়ে বাস থেকে নেমে পড়েন রাহুল গান্ধী। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে ফের বাসে তুলে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
রবিবার বিকেলে সোনিতপুর জেলায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের গাড়ি এবং ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার গাড়িতেও আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি কর্মীরা হামলা করেছিল। অভিযোগ, জয়রাম রমেশের গাড়ি থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার স্টিকার ছিঁড়ে ফেলা হয়। হামলাকারীরা গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। এতে গাড়ির পেছনের কাচ প্রায় ভেঙে যায় বলে দাবি।