ফের তদন্তকারীদের নজরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির বিধায়ক 'কেনাবেচা'র অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। সেই মামলারই নোটিশ দিতে কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যান ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্তারা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের এসিপি নোটিশ দিতে যান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত আধিকারিকরা পুলিশের নোটিশ মানতে চাননি।
সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন যে, বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে। কেজরিওয়াল বলেছিলেন, তাঁর ২১ জন বিধায়ককে দল ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এই ব্যাপারে আম আদমি পার্টির সাতজন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি নোটিশ নিয়ে কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত কর্তারা নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন। এরপরে পুলিশ আধিকারিকরা কোনও নোটিশ না দিয়েই সেখান থেকে চলে যান।
দিল্লি সরকারের পিডব্লিউডি মন্ত্রী অতীশি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি আম আদমি পার্টির বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকা করে অফার করছে। এভাবে 'ঘোড়া কেনাবেচার' মাধ্যমে বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও আপ-এর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। সূত্রের মতে, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই বিষয়ে অতীশিকেও নোটিশ পাঠাতে পারে।
এই বিষয়ে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (আগে টুইটার)-এ একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। তাতে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিজেপি দিল্লিতে আপ বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি বিজেপি দিল্লিতে আমাদের ৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে, কয়েকদিন পরই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে। তার পর আমরা বিধায়কদের ভাঙাব। ২১ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বাকি বিধায়কদের সঙ্গেও কথা বলছি। তিনি আরও জানান, 'আমাদের সমস্ত বিধায়ক বিজেপির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।'
এরপর গত ৩০ জানুয়ারি, রাজ্য বিজেপি দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিপির সঙ্গে দেখা করে। সেখানে অতীশি এবং কেজরিওয়ালের তোলা অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জমা দেয়। বিজেপি AAP বিধায়কদের প্রলুব্ধ করার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তাঁরা। এই অভিযোগেরো SIT তদন্তের দাবি করা হয়। এছাড়াও, বিজেপির প্রতিনিধিদল জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে অভিযোগ দায়ের করেছে।