পঞ্জাবে শিরোমনি আকালি দলের (SAD) নেতা সুখবীর সিং বাদলের ওপর প্রকাশ্যে চলে গুলি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গুলি তাঁর গায়ে লাগেনি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন আকালি দল প্রধান। জানা যায়, পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
সুখবীর সিং বাদলের ওপর গুলি চালানো ব্যক্তি কে?
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সতর্ক থাকার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। উপস্থিত লোকজন হামলাকারীকে ধরে ফেলে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। গুলি চালানো ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম নারায়ণ সিং চৌরা বলে জানা গিয়েছে। দলটি খালসার সঙ্গে যুক্ত।
সূত্রের খবর, হামলাকারীকে বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (BKI) প্রাক্তন সদস্য বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি, পাকিস্তান থেকে পঞ্জাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার করতেন ওই ব্যক্তি।
হামলাকারী গেরিলা যুদ্ধের ওপর একটি বইও লিখেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বুড়াইল জেলব্রেক মামলার অভিযুক্ত এবং পঞ্জাবের জেলবন্দি থেকে সাজা ভোগ করেছেন।
২০১৫ সালে সুখবীর সিম বাদল উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রামরহিমকে নিয়মের বাইরে গিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সুখবীরকে দোষী সাব্যস্ত করে ‘সাজা’ শুনিয়েছিল অকাল তখ্ত। শিখ ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানের আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালেও ‘সাজা’ খাটতে হুইলচেয়ারে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে পৌঁছে যান সুখবীর। অকাল তখ্ত-এর নির্দেশ অনুযায়ী, ‘সেবাদার’ হয়ে গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করার কথা ছিল তাঁর।
সাজার প্রথম দিনে তিনি স্বর্ণ মন্দিরের কমিউনিটি কিচেনের বাসন-কোসনও পরিষ্কার করেন। পাহারার জন্য হাতে বর্শা নিয়েও দেখা যায় তাঁকে। সুখবীর সিং বাদলের পায়ে একটি ফ্র্যাকচার রয়েছে, তাই প্লাস্টার লাগানো হয়েছে এবং তিনি হুইলচেয়ারে নজর রাখছেন।
কী শাস্তি পান সুখবীর সিং বাদল?
শিখ সম্প্রদায়ের 'সুপ্রিম কোর্ট' অর্থাৎ শ্রী অকাল তখত সাহেব সুখবীর বাদলকে সাজা দেয়। সেই অনুযায়ী তাঁকে গুরুদ্বারে সেবা করতে হয়। বাসন ধোওয়া এবং পাহারা দেওয়া। শ্রী দরবার সাহেবের শৌচালয়ও পরিষ্কার করতে হয় তাঁতে। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আকালি দল সরকারের সময় ধর্মীয় ভুলের জন্য শ্রী অকাল তখত বাদল এবং তাঁর দলের নেতাদের এই সাজা দেয়। আকালি নেতারা একই শাস্তির খেসারত দিচ্ছেন।