বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ফোন রাহুল গান্ধীর। জেডিইউ সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। I.N.D.I.A জোটের বৈঠকের পরেই এই ফোনে বার্তালাপকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জোটকে আরও শক্তিশালী করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন রাহুল-নীতীশ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে মল্লিকার্জুন খার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন। জেডিইউ সূত্রে দাবি, এদিন নীতীশের সঙ্গে এই নিয়েও আলোচনা করেন রাহুল। ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া ব্লকের চতূর্থ মিটিংয়ে হঠাৎ করেই মল্লিকার্জুন খার্গের নাম প্রস্তাব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁকে সমর্থন জানান।
সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার এবং লালু যাদব এই প্রস্তাবে তেমন খুশি হননি। তাঁরা দু'জনই সভা থেকে তাড়াতাড়ি চলে যান। সভা শেষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনেও উপস্থিত হননি। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মল্লিকার্জুন খার্গের নাম প্রস্তাবের কথা নীতীশ জানতেন না। জেডিইউ সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধী বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে নীতিশ কুমারের ভূমিকা 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে উল্লেখ করেছেন। বিহারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়েও দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার রাহুল গান্ধীকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় যে কোনওদিন চাইলেই কংগ্রেস কোটার মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়াতে তৈরি তিনি। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বিলম্বের জন্য লালু যাদবের সিদ্ধান্তহীনতাকেই দায়ী করেছেন নীতিশ। এর পর শুরু হয়েছে আরও এক জল্পনা। জেডিইউ ও আরজেডির মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে তো? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং এই মর্মে পাল্টা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, লালু যাদব তাঁর ছেলে তেজস্বীকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। এই কারণেই তিনি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের অনুমতি দিচ্ছেন না।
গিরিরাজ সিংয়ের দাবি, তিনি এবং লালু যাদব একই উড়ানে পাটনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। সেই সময়ে, বিমানে আরজেডি সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। গিরিরাজ সিংয়ের দাবি, 'লালু যাদব বলেছিলেন, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী না করলে বিহারের উন্নতি হবে না।'
উল্লেখ্য JDU এবং RJD-র অনেক নেতাই নীতীশ কুমারকে INDIA জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করেছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা সমালোচনা, RJD নীতীশকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে পাঠিয়ে তেজস্বী যাদবের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করছে।