হাজার কথা বলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে একটি ছবি। অষ্টাদশ লোকসভা অধিবেশনেও তেমনই একটি ছবি নজর কাড়ছে। ছবির কেন্দ্রে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা এখনও ঠিক হয়নি। যদিও কংগ্রেসের বৈঠকে দাবি উঠেছে, রাহুল গান্ধী হোক বিরোধী দলনেতা। তবে যাবতীয় জল্পনার মাঝে লোকসভায় কে কোন আসনে বসছেন, তার যে চিত্র সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী বিরোধী শিবিরে একেবারে সামনের আসনে।
সামনের সারিতে রাহুল গান্ধী
গত লোকসভায় রাহুল গান্ধীকে সামনের আসনে দেখা যায়নি। তিনি বসতেন দ্বিতীয় আসনে। অর্থাত্ প্রথম সারিতে নয়। কিন্তু ২০২৪ সালে অষ্টাদশ লোকসভা অধিবেশনে রাহুলকে দেখা যাচ্ছে ফ্রন্ট রো-তে। রাহুলের বডি ল্যাঙ্গোয়েজেও পরিবর্তন এসেছে। যেন জাতীয় রাজনীতিতে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে কংগ্রেস। লোকসভায় দেখা যাচ্ছে, বিরোধী শিবিরে একেবারে সামনের সারিতে বসে রয়েছেন, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, আওয়াধেশ প্রসাদ (সপা সাংসদ), সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ)। এঁরাই যেন বিরোধী শিবিরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বস্তুত, আওয়াধেশ প্রসাদই অযোধ্যায় বিজেপি-কে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন। অযোধ্যা আসনির নাম ফৈজাবাদ। রাম মন্দিরের অযোধ্যায় সপা-র এই জয়কে সেলিব্রেট করতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছেন না সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। যার নির্যাস, আওয়াধেশ প্রসাদকে সামনের আসনে বসিয়ে বিজেপি-কে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন অখিলেশ।
আওয়াধেশ প্রসাদকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন অখিলেশ
লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিন যখন সপা সাংসদরা সংসদে ঢুকছেন, দেখা যায়, অখিলেশ যাদব, তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব ও অন্যান্য সপা সাংসদরা একটু পিছনে হাঁটছেন। অখিলেশকে দেখা গেল আওয়াধেশ প্রসাদের হাত ধরে হাঁটছেন। অর্থাত্ অযোধ্যার (ফৈজাবাদ) মতো হাইপ্রোফাইল আসনে আওয়াধেশের জয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনটি এখনও খালি। তবে রাহুল গান্ধী বা অখিলেশ যাদব যেভাবে লোকসভা কক্ষে বিরোধী শিবিরে সামনের আসনে বসছেন, তাতে ছবিই যেন অনেক কথা বলে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে লোকসভা অধিবেশনে বিরোধী জোট যে জোরদার শক্তি প্রদর্শনের জন্য কোমর বেঁধেছে, তা মোটামুটি স্পষ্ট।
সংবিধান হাতে নিয়ে শপথগ্রহণ
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যার নিরিখে NDA জোট পেয়েছে ২৯৩টি আসন। INDIA জোট পেয়েছে ২৩৩টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ৯৮টি আসন, সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে রয়েছে ৩৭টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন ও এলজেপি পেয়েছে ৫টি আসন।