রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা আজ হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুর থেকে শুরু হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলিতে জনগণের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্য কংগ্রেস দলের প্রচেষ্টা হিসাবে এটিকে দেখা হচ্ছে।
মণিপুরের থৌবাল জেলা থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ১৫টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা আসনের মধ্য দিয়ে যাবে। মণিপুর সরকার সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে এখানে প্যালেস ময়দান থেকে মিছিল করার জন্য কংগ্রেসকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। দলটির প্রাথমিকভাবে ইম্ফল থেকে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল কিন্তু এর জন্য অনুমোদন পাওয়া যায়নি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন থৌবাল। পার্টির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, রাহুল রবিবার সকাল ১১টায় ইম্ফল পৌঁছবেন এবং প্রথমে খংজোম ওয়ার মেমোরিয়ালে যাবেন। এর গুরুত্ব শুধু মণিপুরের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য।
বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল
দলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, যাত্রা চলাকালীন রাহুল বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে দেখা করবেন এবং জনসভা করবেন। রাহুল জনগণের কাছে গিয়ে জানাবেন কংগ্রেস দলের মনে কী আছে। এটি একটি রাজনৈতিক দলের যাত্রা। এটি একটি আদর্শ যাত্রা, নির্বাচনী যাত্রা নয়। এটা নিশ্চিতভাবে বলা হয় যে আমরা সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আজ এখানে গণতন্ত্র কম এবং স্বৈরাচার বেশি।
এই সফরটিও রূপান্তরমূলক প্রমাণিত হবে
দলের বিশ্বাস রাহুলের এই সফর রূপান্তরমূলক প্রমাণিত হবে। কংগ্রেস বলেছে যে সরকার সংসদে জনগণের সমস্যা উত্থাপনের সুযোগ দেয়নি। সেজন্য তারা ভারত জোড় ন্যায়ো যাত্রা বের করছেন।
যাত্রা হবে ৬,৭১৩ কিমি।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ৬,৭১৩ কিমি বাসে এবং পায়ে হেঁটে যাবে। যাত্রাটি ৬৬ দিনে কভার করবে, ১১০টি জেলা, ১০০টি লোকসভা আসন। এটি ৩৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যাবে এবং ২০ বা ২১ মার্চ মুম্বাইয়ে শেষ হবে।
গত ১০ বছর অন্যায়ের সময়
জয়রাম রমেশ বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী অমৃতকালের সোনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবতা হল গত ১০ বছর অন্যায়ের সময়। গত ১০ বছরে দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে।