ঝাড়খণ্ড নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আটকে পড়ল রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টার। ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায়। এটিএস তাঁর হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি দেয়নি বলে খবর। হেলিকপ্টারটি হেলিপ্যাড থেকে ওড়ার ছাড়পত্র পায়নি। রাহুলের হেলিকপ্টারটি প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর মেলে অনুমতি। এজন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার কারণে রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টারকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টার গোড্ডার বেলবাড্ডায় আটকানো হয়েছিল। হেলিকপ্টারের ছাড়পত্র না পাওয়ার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক। এটা বিজেপির ভুল নীতি বলে অভিহিত করেছেন।
রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টার গোড্ডায় দাঁড়িয়ে থাকার ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, হেলিকপ্টারের ভিতরে বসে রয়েছেন সনিয়া তনয়। রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায় থাকা রক্ষীরা ঘিরে রয়েছেন হেলিপ্যাড।
কল্পনা সোরেনের একই অভিযোগ
হেলিকপ্টার নিয়ে বিবাদ এই প্রথম নয়। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও একই অভিযোগ করেছিলেন। প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। লাতেহারে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ফোনেই ভাষণ দেন। বলেন, 'ঝাড়খণ্ডের মানুষ দেখছে কেন্দ্র ও বিজেপির নির্দেশে মানুষকে কীভাবে অপমান করা হচ্ছে।'
২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ
ঝাড়খণ্ডে চলছে শেষ মুহূর্তের রাজনৈতিক প্রচার। রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৩ নভেম্বর। ১৫টি জেলার ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ২০ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ ৩৮টি আসনে।