লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রাহুলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিযুক্ত করা হল। রাহুলকে এবার যে বিরোধী দলনেতা করা হবে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল এদিন সংবাদমাধ্যমে একথা জানান। রাহুলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিয়োগের জন্য প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী।
গত ৯ জুন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। তবে শেষমেশ এই প্রস্তাবে রাহুল রাজি হন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। প্রস্তাব নিয়ে রাহুল সেই সময় বলেছিলেন, ভেবে দেখবেন।
এবার লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি থেকে লড়েছেন রাহুল। দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন সনিয়া-পুত্র। তবে রায়বরেলি কেন্দ্র রাখবেন রাহুল। ওয়েনাডে উপনির্বাচনে লড়বেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
অন্যদিকে, অষ্টাদশ লোকসভার স্পিকার পদপ্রার্থী নিয়ে এবার বিজেপি বিরোধী জট 'ইন্ডিয়া'র অন্দরে জট তৈরি হল। স্পিকার পদে বিরোধীদের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কে সুরেশকে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের দাবি, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই স্পিকার পদপ্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এটা 'কংগ্রেসের একতরফা সিদ্ধান্ত' বলে মঙ্গলবার সংসদে ঢোকার সময় মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার লোকসভায় স্পিকার পদে নির্বাচন হতে চলেছে। এনডিএ জোটের প্রার্থী করা হয়েছে পূর্বতন স্পিকার ওম বিড়লাকে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী কে সুরেশ।
স্পিকার পদে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কংগ্রেস 'একতরফা সিদ্ধান্ত' নিয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, 'আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক। এটা কংগ্রেসের একতরফা সিদ্ধান্ত।' লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদের সংখ্যা ৯৯। তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২৯ সাংসদ।
মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।