Advertisement

Rahul Gandhi: সংসদে ফিরেই মণিপুর ইস্যুতে জ্বলে উঠলেন রাহুল, প্রসঙ্গ তুললেন আদানিরও

সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বক্তব্য দিতে উঠে মণিপুর ইস্যুতে জ্বলে উঠলেন রাহুল গান্ধী। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর এটাই রাহুলের সংসদে প্রথম বক্তব্য। অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা চলাকালীন রাহুল সুফি সাধক জালালুদ্দিন রুমির বাণী দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।

আদানি ও রাহুল গান্ধী
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 09 Aug 2023,
  • अपडेटेड 1:39 PM IST
  • সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বক্তব্য দিতে উঠে মণিপুর ইস্যুতে জ্বলে উঠলেন রাহুল গান্ধী
  • আক্রমণ করলেন গৌতম আদানিকেও

সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বক্তব্য দিতে উঠে মণিপুর ইস্যুতে জ্বলে উঠলেন রাহুল গান্ধী। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর এটাই রাহুলের সংসদে প্রথম বক্তব্য। অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা চলাকালীন রাহুল সুফি সাধক জালালুদ্দিন রুমির বাণী দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বক্তব্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ব্যবসায়ী গৌতম আদানিকে আক্রমণ করেন। 

রাহুল বলেন, 'মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়, আমাকে লোকসভায় ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ। আমি যখন শেষবার (পার্লামেন্টে) কথা বলেছিলাম, তখন হয়তো আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছি। আমি আপনার (স্পীকার) কাছে ক্ষমা চাইছি সেজন্য। এর আগের বক্তব্যে আদানি ইস্যুতে জোরে কথা বলেছিলাম। তবে আপনার আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই। প্যানিক করার কোনও প্রয়োজন নেই। আজ আমার বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়। আপনি বিশ্রাম নিতে পারেন।' 

রাহুল বলেন, 'রুমি (সুফি সাধক) বলেছিলেন, যে কথা হৃদয় থেকে আসে, হৃদয়ে যায়। আজ আমি আমার মন থেকে কথা বলতে চাই। আজ আমি আপনাকে (এনডিএ সরকার) এত আক্রমণ করব না। তবে, আমি অবশ্যই একটি বা দুটি গোলা অবশ্যই ছুড়ব । তবে বেশি মারবো না। সেজন্য চিন্তার কোনও কারণ নেই।'
 

'আমি হয়তো জানতাম না কেন ভারত জোড়ো যাত্রা করছি'

রাহুল আরও বলেন, তিনি ১৩০ দিনের জন্য ভারতের এক কোণ থেকে অন্য কোণে গিয়েছিলেন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- হাঁটছেন কেন? আপনি কেন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাচ্ছেন? শুরুতে আমার মুখ থেকে উত্তর বের হয়নি। সম্ভবত আমি জানতাম না কেন আমি ভ্রমণ করছিলাম। আমি তখন সাধারণ মানুষের কাছেই জানতে চেয়েছি, বুঝতে চেয়েছি। তবে আমি ধীরে ধীরে আমার উদ্দেশ্য বুঝতে শুরু করলাম। মনে হল, যার জন্য আমি মরতে প্রস্তুত, যার জন্য আমি মোদীর জেলে যেতে প্রস্তুত। যে জিনিসটার জন্য আমি প্রতিদিন গালিগালাজ খেতাম। সেটা কী? আমি বোঝার চেষ্টা করেছিলাম, কী এমন জিনিস যেটা আমাকে পাষাণ করে তুলেছে।

Advertisement

'আমার অহংকারের পতন হয়েছে' 

রাহুল বলেন, 'আগে প্রতিদিন আমি ৮-১০ কিলোমিটার হাঁটতাম। তাই ভাবতাম ২০-২৫ কিমি হাঁটতে পারব। আমার অহংকার ছিল। কিন্তু আমার দেশ ভারত সেই অহংকারের পতন ঘটিয়েছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে আমার হাঁটুতে এতটাই ব্যাথা হচ্ছিল যে আমার অহংকার চলে গেল।'

'কৃষকের বেদনা অনুভব' 

রাহুল গান্ধী বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রার সময় এক কৃষক এক বান্ডিল তুলো উপহার দেন। সেই কৃষক আমাকে বলেন, রাহুলজি আমার কাছে এটাই আছে আপনাকে দেওয়ার। আর কিছু নেই। আমি কৃষককে জিজ্ঞাসা করলাম যে সে বীমার টাকা পেয়েছে কিনা। সেই কৃষক বলেন, ভারতের বড় বড় শিল্পপতিরা সেই টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি তার হৃদয়ে ব্যথা অনুভব করেছি। তার কষ্ট আমার যন্ত্রণা হয়ে ওঠে। '

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement