অষ্টাদশ লোকসভার স্পিকার পদে ফের বসেছেন ওম বিড়লা। স্পিকার হওয়ার পর লোকসভায় প্রথম বক্তব্যেই ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন বিড়লা। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানালেন লোকসভার বিরোীধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় স্পিকারের চেম্বারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। সেই সাক্ষাৎপর্বেই রাহুল জানান যে, বিড়লার বক্তব্যে স্পষ্ট, এটা 'রাজনৈতিক'। এই ধরনের বক্তব্য এড়ানো উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল।
রাহুল ছাড়াও এদিন স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব, আরজেডির সাংসদ মিশা ভারতী এবং এনসিপির শরদ শিবিরের সুপ্রিয়া সুলে। বেণুগোপাল জানিয়েছিলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল স্পিকারের সঙ্গে। সেই সময়ই ওই প্রসঙ্গে কথা বলেন রাহুল।
এবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হয়েছেন রাহুল। মঙ্গলবার রাহুলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। রাহুলকে এবার যে বিরোধী দলনেতা করা হবে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। রাহুলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিয়োগের জন্য প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি দেন কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী।
গত ৯ জুন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। তবে শেষমেশ এই প্রস্তাবে রাহুল রাজি হন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। প্রস্তাব নিয়ে রাহুল সেই সময় বলেছিলেন, ভেবে দেখবেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি থেকে লড়েছেন রাহুল। দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন সনিয়া-পুত্র। তবে রায়বরেলি কেন্দ্র রাখবেন রাহুল। ওয়েনাডে উপনির্বাচনে লড়বেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।