মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা সংসদে। বুধবার লোকসভায় এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ওবিসি সংরক্ষণ ছাড়া মহিলা সংরক্ষণ বিল অসম্পূর্ণ। শুরুতেই তিনি বলেন, গতকাল আমি আলোচনা শুনছিলাম। আমি এই বিল সমর্থন করি (মহিলা সংরক্ষণ)। আমরা সবাই এই বিষয়ে একমত যে নারীদের আরও সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু এই বিল সম্পূর্ণ নয়। ওবিসি সংরক্ষণটা রাখা উচিত ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে রাহুল গান্ধী বলেন, 'এটা খুবই অদ্ভুত যে, নতুন আদমশুমারি ও ডিলিমিটেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা আজই চাইলে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু কোথাও যেন এটি এড়িয়ে যেতে চান। আমাদের আসলে আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘুরিয়ে বিভ্রান্ত করতে চান। আপনারা এই ভবন(সংসদ) তৈরি করেছেন। আমরা এখানে রাষ্ট্রপতিকে দেখতে চাই। তাঁর এখানে থাকা উচিত ছিল।'
তিনি বলেন, এই বিলে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের নীতি থাকা উচিত। বর্তমান বিলে সেটি নেই। নতুন ভবন খুব সুন্দর। তবে দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতিরও এর উদ্বোধন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। ডিলিমিটেশন ও আদমশুমারি সম্পন্ন করার নিয়মেরও সমালোচনা করেন তিনি। রাহুলের মতে, বাস্তবায়ন করতে হলে, তা অবিলম্বে করা উচিত।
'সরকারে মাত্র ৩ জন ওবিসি সচিব'
তিনি বলেন, '৯০ জন সচিব সরকার চালনা করছেন। তার মধ্যে কতজন ওবিসি থেকে এসেছেন? ওবিসি থেকে এসেছেন মাত্র ৩ জন। তাঁরা বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই এটা ভারতের জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্ন। এটি ওবিসি সম্প্রদায়ের অপমান। আপনারা আজই বিলটি বাস্তবায়ন করুন এবং আজই মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করুন। এই তালিকা ওবিসি সম্প্রদায়ের অপমান। আপনারা বর্ণশুমারি প্রকাশ করুন। আপনারা যদি তা না করেন, তাহলে আমরা করব।'
বিলের এই দু'টি অংশ নিয়ে আপত্তি তুলছেন বিরোধীরা
এখনও পর্যন্ত কোনও বড় দলই মহিলা সংরক্ষণ বিলের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেনি। তবে অনেক বিরোধী দলই বিলের কিছু কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সবচেয়ে বড় যে দু'টি আপত্তি উত্থাপিত হচ্ছে সেগুলি হল, এখনই এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে না কেন? ডিলিমিটেশনের শর্ত রাখার কারণ জানতে চাইছেন বিরোধীরা। দ্বিতীয়ত, এই বিলে ওবিসি মহিলাদের জন্য আলাদা কোটা রাখা হয়নি। সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।