ওয়েনাড আসন ছেড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তিনি রায়বরেলির সাংসদ থাকবেন। ওয়েনাড আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধী কোন আসন ছাড়বেন তা নিয়ে এতদিন জল্পনা ছিল। তবে সেই জল্পনার অবসান হল।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোমবার স্পষ্ট করে দেন যে, রাহুল গান্ধী রায়বেরেলি থেকে সাংসদ থাকবেন। তিনি কেরলের ওয়েনাড আসন ছাড়বেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়েনাড থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান। এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও জানান, তিনি ওয়েনাড থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে একদিনে দুটি বড় ঘোষণা করল কংগ্রেস। প্রথমত, রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্ত যে তিনি রায়বরেলি থেকে সাংসদ থাকবেন এবং দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসও ওয়েনাড উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, ‘আমার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। কারণ ওয়েনাডের মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। রায়বরেলি এবং ওয়েনাডের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমি ওয়েনাড ছাড়ছি। প্রিয়ঙ্কা লড়বেন সেখান থেকে।’ প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড এবং উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি এই দুই লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই আসনেই তিনি বেশ বড় ব্যাবধানে জেতেন।
সোমবার কংগ্রেস সভাপকি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে এই বৈঠক হয়। সেখানে সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কেসি বেণুগোপালের মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এই রায়বরেলি আসনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন সনিয়া গান্ধী। ঐতিহাসিকভাবে এই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসের কাছে। কারণ, ইন্দিরা গান্ধী একাধিকবার এই আসন থেকে সাংসদ হয়েছিলেন।
৪ জুন ফলাফল ঘোষিত হয়েছিল লোকসভা ভোটের। ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে একটি আসন খালি করতে হয়। এখন যেহেতু রাহুল গান্ধী রায়বেরেলিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা ওয়েনাডের আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি জিতলে সেই আসন কংগ্রেসের দখলেই থাকবে।