ছত্তিশগড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল নকশালরা। মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে ৪ নকশাল কমান্ডার নিহত হয়েছেন। যাদের মাথার দাম ছিল ৩৬ লাখ টাকা। মঙ্গলবার সকালে ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের সীমানায় এই এনকাউন্টার হয়। তথ্য অনুসারে, C60 কমান্ডোরা নকশালদের গতিবিধির খবর পেয়েছিলেন, তারপরে আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলা হয়।
বাহিনী ও নকশাল উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে এবং এনকাউন্টারে ৪ নকশাল নেতা নিহত হয়। নিহত নকশাল নেতাদের নাম ভার্গেশ, মাঙ্গাতু, কুরসাম রাজু এবং ভেঙ্কটেশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি AK47, একটি কারবাইন, দুটি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৪ মার্চ, খবর পাওয়া যায় যে ছত্তিশগড় পুলিশ কাঙ্কেরে এক নকশালকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যও শহিদ হন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। কাঙ্কের জেলার ছোটবেথিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত হিদুর গ্রামের কাছে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি যৌথ দলের হাতে একজন নকশাল নিহত হয়। কিন্তু এই অপারেশন চলাকালীন পুলিশের বস্তার ফাইটারস-এর কনস্টেবল রমেশ কুরেঠি এনকাউন্টারে নিহত হন। একই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি AK-47 রাইফেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে, কাঙ্কের জেলায় নকশালদের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিরাপত্তাকর্মীরা তিন নকশালকে হত্যা করেছিল।
গত এক বছরে ৩০০টিরও বেশি হামলা
গত বছরের মার্চে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলার পরিসংখ্যান পেশ করেছিল। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে রাজ্যের অভ্যন্তরে ৩০৫টি নকশাল হামলা হয়েছিল। এর আগে, সরকার সংসদে বলেছিল যে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (মাত্র দুই মাসে) ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলায় ৭ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে,২০১৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ বছরে ছত্তিশগড়ে ৩ হাজার ৪৪৭টি নকশাল হামলা হয়েছে। এই হামলায় ৪১৮ জন সৈন্য শহিদ হয়েছিল, এবং নিরাপত্তা বাহিনী ৬৬৩ জন নকশালকে হত্যা করেছিল।