ঘড়ির কাঁটায় ঠিক দুপুর বারোটা। অযোধ্যায় রামলালার কপালে এসে পড়ল সূর্যের আলো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সূর্যের আলো পৌঁছে গেল রামলালার ললাটে। এঁকে দিল সূর্যতিলক। এই কাজকে সম্ভব করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের জন্য এই অসাধ্য সাধন হয়েছে।
আসলে মন্দির নির্মাণের সময় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের বলা হয়েছিল, শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের গর্ভগৃহে আলোর এমন ব্যবস্থা করুন যাতে রাম নবমী উপলক্ষে সূর্যের রশ্মি সরাসরি শ্রী রামের কপালের মাঝখানে পড়ে। সেই কাজই করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। যার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স হল সেই ইনস্টিটিউট যেখানে বিজ্ঞানীরা ISRO-এর সহযোগিতায় আদিত্য-L1 সূর্য অধ্যয়নের জন্য পাঠিয়েছেন।
রামলালার কপালে সূর্যতিলক পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি অপটিক্যাল মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। IIA থেকে বিজ্ঞানীদের একটি দল এই সিস্টেমটি ইনস্টল করার জন্য দীর্ঘদিন কাজও করেছেন। তারই সাফল্য দেখল বিশ্ববাসী।
জানা যায়, রামলালার কপালে সূর্য তিলক পাঠানোর জন্য চারটি লেন্স এবং চারটি আয়না ব্যবহার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে এই সিস্টেমটি অস্থায়ীভাবে ইনস্টল করা আছে। মন্দিরের কাঠামো শেষ হলে এই ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বসানো হবে। যাতে প্রতি বছর রাম নবমীতে শ্রী রামের কপালে সূর্য তিলক এসে পড়ে।
অপটিক্যাল মেকানিক্যাল সিস্টেম কীভাবে কাজ করে?
সাধারণভাবে বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে আলোর মেরুকরণ বলা যেতে পারে। তার মানে আলোকে ঘনীভূত করে এক জায়গায় নিক্ষেপ করা। এর জন্য লেন্স এবং আয়না ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানীরা লেন্স এবং আয়না ব্যবহার করে সূর্যের তীব্র রশ্মিকে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করতে চান। IIA বিজ্ঞানীরা চারটি লেন্স এবং চারটি আয়নার মাধ্যমে ভগবান শ্রী রামের কপালে সূর্যের রশ্মি ফোকাস করার জন্য একটি অপটিক্যাল যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। সূর্য তিলক করার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি স্থায়ী কাঠামো স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।