অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন 'অলৌকিক' ঘটনার কথা জানিয়েছেন ভাস্কর প্রশান্ত পাণ্ডে। 'আজতক'কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি যখন রামলালার মূর্তি তৈরি করছিলেন, তখন সেখানে কেউ ছিল না। তখন হঠাৎ একজন সাধু তাঁর কাছে এলেন। তিনি তাঁর নাম প্রকাশ করেননি। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি চলে যান। যে চেয়ারে বসেছিলেন, তাঁকে সেই চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়েছিল। ওই সাধু চলে যাওয়ার পর প্রশান্ত সেই চেয়ারে বসলে হঠাৎ তার শরীরে প্রচণ্ড শক্তি চলে আসে। মনে হয় যেন হনুমানজি নিজেই এসেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, রাম মন্দিরের ভেতরে গেলেই রামলালার মূর্তি দেখা যাবে। আমরা গজদ্বার, সিংদ্বার, গেরুনদ্বার এবং হনুমানদ্বার তৈরি করেছি। আমরা ৬-৬ ফুটের মূর্তি এবং প্রধান গণেশের মূর্তি তৈরি করেছি। আমরা ক'য়েক পুরুষের ভাস্কর।
সাত মাস সাত প্রজন্মের যাত্রার মত কেটে গেল। তবে, গর্ভগৃহে স্থাপিত হয়েছে অরুন যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিটি।
প্রশান্তের বাবা সত্যনারায়ণ পান্ডে জানিয়েছেন, রামলালার মূর্তি তৈরি করতে সাত মাস লেগেছিল। এটি সাত প্রজন্মের যাত্রার মতো মনে হয়েছিল। যাত্রাটি এমন ছিল যেন ভগবান শ্রী রাম আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমাদের মনে হয়েছিল যেন ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর কৌতুকপূর্ণ মনোভাব দৃশ্যমান ছিল, তার চোখ কথা বলত।
তিনি একটি রহস্যময় ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে প্রতিমা তৈরির সময় রামলালার কাছে বানর আসত। সত্যনারায়ণ পান্ডে জানান, প্রথম দিন যখন তিনি অযোধ্যায় এসেছিলেন, তখন কিছুই জানতেন না। তখন তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে একটি মন্দিরে একশ বছরেরও বেশি বয়সী একজন বয়স্ক সাধু যজ্ঞ করছেন। একটি বানর তাঁর কাছে আসে এবং তার আঙুল ও বাহুতে কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে। স্বপ্নে দেখা মন্দিরটি কাছেই ছিল।
এই ঘটনার পর সত্যনারায়ণ পান্ডে বাইরে এসে দেখলেন, স্বপ্নে দেখা মন্দিরটি কাছেই। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কেবল সেই মন্দিরেই অন্নপ্রসাদ নিয়েছিলেন। প্রশান্ত জানান, প্রতিমা তৈরির সময় তিনি সব নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। অলৌকিক ঘটনা প্রতিদিন ঘটতে থাকে।