Advertisement

বিদায়ী ভাষণে কোবিন্দের মুখে নেতাজি-শ্যামাপ্রসাদের নাম, কী বললেন?

রামনাথ কোবিন্দ আরও বলেন, "নিজের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি বিশেষত্ব। তাই যুব সম্প্রদায়ের কাছে নিজের গ্রাম, শহর, বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।" 

রামনাথ কোবিন্দ
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 24 Jul 2022,
  • अपडेटेड 9:10 PM IST
  • রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজই মেয়াদ শেষ রামনাথ কোবিন্দের
  • জাতির উদ্দেশ্যে দিলেন বিদায়ী ভাষণ
  • তুললেন নিজের গ্রাম ও স্কুলের কথা

বিদায়ী ভাষণে দেশের জনগণ ও জন প্রতিনিধিদের জন্যবাদ জানালেন রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)। আজই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালের শেষ দিন। এই উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণে রামনাথ কোবিন্দ বলেন, "আজ থেকে ৫ বছর আগে আপনারা আমার ওপর অপার ভরসা রেখে, নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমায় দেশের রাষ্ট্রপতি করেছিলেন। আমি আপনাদের সকল দেশবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করছি।" 

তিনি আরও বলেন, "কানপুরের একটি অতি সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠে রামনাথ কোবিন্দ আজ সমস্ত দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছে, এই জন্য নিজের দেশের জীবন্ত গণতন্ত্রকে শত শত প্রণাম জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন নিজের জন্ম গ্রামে যাওয়া এবং কানপুরের স্কুলের প্রবীণ শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর মধ্যে চিরকালই থাকবে।" 

কোবিন্দ আরও বলেন, "নিজের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি বিশেষত্ব। তাই যুব সম্প্রদায়ের কাছে নিজের গ্রাম, শহর, বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।" 

'স্বাধীনতার নায়কদের স্মরণ করা হচ্ছে'
রামনাথ কোবিন্দ বলেন, "১৯ শতকে দেশকে স্বাধীন করতে প্রচুর লড়াই হয়েছে। কিন্তু দেশকে স্বাধীন করার এমন অনেক নায়ককেই প্রায় ভুলে যাওয়া হয়েছিল। এখন তাঁদের সেই বীরত্বকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "তিলক থেকে গোখলে, ভগৎ সিং থেকে নেতাজি, জওহরলাল নেহেরু থেকে সর্দার পটেল এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে সরোজিনী নাইডু বা কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়, এমন অনেক ব্যক্তিত্বের শুধুমাত্র একটি লক্ষ্যের উদ্দেশ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা, মানবতার ইতিহাসে অন্যত্র দেখা যায়নি।" 

তিনি আরও বলেন, "আমার কার্যকালের পাঁচ বছরে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণন এবং ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের উত্তরসূরি হওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্কট আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুতর বিষয় হয়ে উঠেছে। আমাদের শিশুদের স্বার্থে পরিবেশ, ভূমি, বায়ু এবং জল রক্ষা করতে হবে। আমি সকল দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ও ভারতমাতাকে নমস্কার জানিয়ে প্রত্যেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।"

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement