বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে বড় বড় করে। আর ক্ষমাপ্রার্থনার সময়ে ছোট করে? পতঞ্জলির কেসে এমনটাই বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর তারপরেই নতুন করে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন যোগ গুরু রামদেব ও তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য এবার নতুন করে ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল পতঞ্জলি। এবার আগের চেয়ে যথেষ্ট বড় আকারের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞাপনে, রামদেব এবং বালকৃষ্ণ বলেছেন, তাঁরা 'নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী'। তাঁদের ব্যক্তিগতর পাশাপাশি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়। এটাও উল্লেখ করা হয় যে, 'ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ/আদেশ অমান্য করার জন্য' ক্ষমা চাইছেন তাঁরা।
'আমাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশের সময় যে ভুল হয়েছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা আন্তরিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, এই ধরনের ত্রুটির পুনরাবৃত্তি হবে না,' বলা হয়েছে ক্ষমাপত্রে ।
মঙ্গলবার বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত আদালতের নির্দেশ অবমাননার শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, পতঞ্জলি খবরের কাগজে যে ক্ষমা চেয়েছে, তার আকার তাদের প্রোডাক্টের জন্য দেওয়া বড়, ফুল পেজ বিজ্ঞাপনের মতো ছিল কিনা। বিচারপতি জানতে চান, 'ক্ষমাপ্রার্থনা কি আপনার বিজ্ঞাপনের আকারের সমান?'
রামদেব এবং বালকৃষ্ণ বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর একটি বেঞ্চকে বলেন, তারা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য মোট ৬৭টি সংবাদপত্রে জনসাধারণের ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। তারা ক্ষমা চেয়ে আরও বিজ্ঞাপন দিতেও ইচ্ছুক। তাদের দাবি, বিজ্ঞাপনগুলির জন্য ১০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।
আদালত পতঞ্জলিকে বিজ্ঞাপনগুলিকে একত্রিত করে বেঞ্চের সামনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
'এগুলিকে বড় করে প্রিন্ট করে আমাদের দেখাবেন না। আমরা প্রকৃত আকারে দেখতে চাই...,' বলে বেঞ্চ।
এর সূত্রপাত, কোভিডের সময়ে পতঞ্জলির বিভিন্ন অ্যাড থেকে। সে সময়ে 'রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা' বৃদ্ধির দাবি নিয়ে পতঞ্জলির পণ্য়ের বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পাল্টা, এগুলি বিভ্রান্তিকর বলে দাবি জানান। এরপরেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন বাবা রামদেব। কিন্তু তারপরেও এমন বিজ্ঞাপন বারবার প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ।