উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধারের কাজ আজকে পাঁচদিনে পড়ল। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে খনন করার জন্য নতুন একটি ড্রিল মেশিন ইনস্টল করা হয়েছে। তা ছাড়া অবিরাম যোগাযোগের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নরওয়ে এবং থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এই উদ্ধারকাজে। ৮০০ মিমি ইভাকুয়েশন টিউব ঢোকানোর জন্য ধ্বংসাবশেষে প্রায় ৫০ মিটার খনন করতে হবে।
উদ্ধারকারী দল আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে একটি ৯০০ মিমি বড় পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা করবে। সূত্র Indiatoday.in কে জানিয়েছে যে পাইপে ট্র্যাক স্থাপন করা হতে পারে টানেল থেকে শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য, যাতে তাঁদের পাইপ দিয়ে বের হতে কষ্ট করতে না হয়।
এদিকে, চিনিয়ালিসাউর হেলিপ্যাড থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) হারকিউলিস বিমানের মাধ্যমে দিল্লি থেকে আনা নতুন অগার ড্রিল মেশিন সুড়ঙ্গে পৌঁছেছে। চিনিয়ালিসাউর থেকে টানেলের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। মেশিনের ওজনের কারণে ট্রাকটি ধীরগতিতে চলছিল। ড্রিলিং মেশিন ও এর যন্ত্রাংশ তিনটি ট্রাকে করে টানেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ টন ওজনের ড্রিলিং মেশিনটি তার ক্ষমতা অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করলে, এটি প্রতি ঘন্টায় ৫ মিমি গতিতে টানেল কাটতে সক্ষম হবে।
টানেলের একটি অংশ রবিবার ধসে পড়ে। ৩০ মিটার ধসে পড়া অংশটি সিল্কিয়ারা দিক থেকে টানেলের মুখ থেকে ২৭০ মিটার দূরে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, টানেলের মধ্যে শ্রমিকরা নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের অক্সিজেন, বিদ্যুৎ, ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী এবং জল পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।