সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি হল এদিন ৷ এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার শেষবার শুনানি হয়েছিল শীর্ষ আদালতে ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে আজ ফের আরজি কর মামলার শুনানি হয়। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৮২টি পক্ষ রয়েছে এবং লড়াই করছেন দু'শোর বেশি আইনজীবী। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সিবিআইয়ের তরফে সর্বশেষ স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়াল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। এসজি মেহতা আদালতে জানালেন এই ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গত ৭ অক্টোবর চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দেখতে চাই টাস্কফোর্স কী কাজ করেছে? সলিসিটর জেনারেল বলেন, সিবিআই আধিকারিকরা নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সিবিআই আধিকারিকেরা। নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রিপোর্টে উল্লেখ আছে।’’ এরপরেই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘টাস্ক ফোর্স কী করছে?’’ টাস্ক ফোর্সের বর্তমান অবস্থা নিয়ে জানতে চান দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সলিসিটর জেনারেল জানান, তারা এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তা পড়ে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘৯ সেপ্টেম্বর শেষ বার টাস্ক ফোর্স বৈঠক করেছিল। তার পর আর কোনও বৈঠক করেনি?’’ তুষার জানান, তার পর কোনও বৈঠক হয়নি। এক মাসের বেশি সময় কেন কোনও বৈঠক হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন সপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানান ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কেউ জড়িত কি না, তদন্ত চলছে। আরজি কর মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা পড়েছে শিয়ালদহ আদালতে। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে সেই চার্জশিটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এমনকি, চার্জশিটের কপিও জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে সিবিআই জানায়, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ এই ধর্ষণ-খুন মামলায় জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয় যে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কার কার ভূমিকা আছে তা নিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। এছাড়াও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায় যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।
এদিকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ কত দূর, তা জানিয়ে হলফনামা জমা করল রাজ্যের তরফের সিনিয়র আইনজীবী এস দ্বিবেদী। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার কাজ শেষ হবে।