রোহিঙ্গাদের ভারতে প্রবেশ অবৈধ। তাঁরা ভারতে বসবাসের মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার এও দাবি করেছে, ভারতে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসা রোহিঙ্গাদের বিদেশী রূপেও গ্রহণ করা যায় না।
রোহিঙ্গারা যে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং তাঁদের কোনও মৌলিক অধিকার নেই, তাও হলফনামায় স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা বিপুল। তবে সংস্থান সীমিত। ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় দেশের নাগরিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। হলফনামায় কেন্দ্রের দাবি, 'একজন বিদেশি শুধুমাত্র ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার ভোগ করে। তারা ভারতে বসবাস বা স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারে না। এই অধিকার শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্য।'
হলফনামায় দেশের শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনে। নানা সময় দেখা গেছে, বেশিরভাগ বিদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। যা দেশের জন্য কখনও ভালো নয়, মঙ্গলজনক নয়।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই বলে আসছে, রোহিঙ্গা মুসলিমরা উদ্বাস্তু নয় তারা অবৈধ অভিবাসী। ২০১৭ সালে সরকার সংসদে জানিয়েছিল, দেশে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে। তখন সরকার বলেছিল, গত দুই বছরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা চারগুণ বেড়েছে।
রোহিঙ্গা কারা ?
রোহিঙ্গারা মায়ানমারের বাসিন্দা ছিল। সেদেশের রাখাইন প্রদেশে বসবাস করত। ২০১২ সালে সংঘর্ষের পর বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মায়ানমার ছাড়তে শুরু করে। সেই দেশের সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। অভিযোগ, তারপর থেকে রোহিঙ্গারা ভারতে অনুপ্রবেশ শুরু করে।