Advertisement

Tu 160 Bombers: গোটা চিনের পক্ষেই বিপজ্জনক, ভারতকে খতরনাক যুদ্ধবিমান বেচতে চাইছে রাশিয়া

ভারতের কাছে এখনও কোনও বোমারু বিমান নেই। এই বোমারু বিমান ভারতে এলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি বোমা, হাইপারসনিক মিসাইল, সুপারসনিক মিসাইল বা ক্রুজ মিসাইলও ছুড়তে পারে।

বিধ্বংসী বিমান ভারতকে বেচতে চায় রাশিয়া
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 14 Nov 2024,
  • अपडेटेड 3:42 PM IST
  • একে সাদা রাজহাঁসও বলা হয়
  • রাশিয়ার বর্তমানে ১৬টি বোমারু বিমান রয়েছে

গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, বিমান-সহ অন্য সরঞ্জাম কিনছে ভারত। বিদেশি দেশের তালিকায় আমেরিকা, রাশিয়া, ইজরায়েলও রয়েছে। রাশিয়া ক্রমাগত ভারতকে তার সবচেয়ে শক্তিশালী বোমারু বিমান Tu-160 অফার করছে। ভারতের কাছে এখনও কোনও বোমারু বিমান নেই। এই বোমারু বিমান ভারতে এলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি বোমা, হাইপারসনিক মিসাইল, সুপারসনিক মিসাইল বা ক্রুজ মিসাইলও ছুড়তে পারে। এটি একটি দূরপাল্লার বোমারু বিমান অর্থাৎ শত্রুর বাড়িতে ঢুকে বোমা ফেলে আবার ফিরে আসতে পারে। তাও খুব সন্তপর্ণে।

Tupolev Tu-160 Black Jack Bomber-এর বিশেষত্ব কী?

একে সাদা রাজহাঁসও বলা হয়। Tu-160 একটি সুপারসনিক ভেরিয়েবল সুইপ উইং হেভি কৌশলগত বোমারু বিমান। যার নকশা ১৯৭০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের টুপোলেভ ডিজাইন ব্যুরো তৈরি করেছিল। এর প্রথম ফ্লাইট ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরে হয়েছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে রাশিয়ান স্পেস ফোর্সে এই বিমান রয়েছে। Tu-160 বোমারু বিমানের ৯টি পরীক্ষামূলক বিমান তৈরি করা হয়েছে।

রাশিয়ার বর্তমানে ১৬টি বোমারু বিমান রয়েছে, ৫০টির কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে রাশিয়ান বিমান বাহিনীর লং রেঞ্জ এভিয়েশন শাখায় ১৬টি বিমান রয়েছে। রাশিয়া তার সেনাবাহিনীতে ৫০টি নতুন Tu-160M ​​বোমারু বিমান অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এই বিমানে চারজন বসতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছেন পাইলট, কো-পাইলট, বোমবার্ডিয়ার এবং ডিফেন্সিভ সিস্টেম অফিসার। এই বিমানটি ১৭৭.৬ ফুট লম্বা।

একবারে ১২ হাজার কিমি উড়তে সক্ষম

এর ডানার বিস্তার ১৮২.৯ ফুট। উচ্চতা ৪৩ ফুট। খালি প্লেনের ওজন ১.১০ লক্ষ কিলোগ্রাম। ৪০০২৬ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ ২২২০ কিমি/ঘণ্টা বেগে উড়তে পারে। সাধারণত এটি ৯৬০ কিমি/ঘণ্টা বেগে উড়ে যায়। এটি একবারে ১২৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। কমব্যাট রেঞ্জ ২০০০ কিমি। এর যুদ্ধের পরিসর হল ২০০০ কিমি। যা সাবসনিক গতিতে ৭৩০০ কিমি বাড়ানো যাবে। এটি সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এর আকাশে ওঠার গতি প্রতি মিনিটে ১৪ হাজার ফুট। মানে এক মিনিটে সাড়ে চার কিলোমিটার উচ্চতা। ৪৫ হাজার কেজি ওজনের বোমা পেটে নিয়ে উড়তে পারে

Advertisement

Tu-160 কত ধরনের বোমা রাখা যায়?

এর ভিতরে রয়েছে দুটি রোটারি লঞ্চার রয়েছে। প্রতিটি লঞ্চার ৬টি Raduga Kh55SM/101/101/555 ক্রুজ মিসাইল বা 12 AS-16 কিকব্যাক স্বল্প পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখতে পারে।

এতে ভারত কীভাবে লাভবান হবে?

ধরুন যদি নাগপুর এবং থাঞ্জাভুরে ৬টি করে বিমান মোতায়েন করা হয়। তাই এটি একযোগে চিন বা পাকিস্তানে উড়তে পারে। তাদের যদি হিমাচল, বিহার, আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশে মোতায়েন করা হয়, তাহলে তারা চিনের অভ্যন্তরে যে কোনও শহরে গিয়ে বোমা হামলা করতে পারে। এটিতে লোড করা ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসরের উপর নির্ভর করে এটি উড়বে। যাতে ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। এটিকে দক্ষিণ ভারতের কোনো ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হলে ভারত মহাসাগরে চিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। এর সাহায্যে চিনের নৌবহরকে টার্গেট করা যাবে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement