'সাহিত্য আজতক ২০২৪'-এর মঞ্চে রাজনীতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন কবি ও রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ী। ফের 'সাহিত্য আজতক ২০২৪'-এর মঞ্চ, শব্দ ও সুরের বিশাল সমাবেশ রাজধানীতে। ৩ দিনের এই অনুষ্ঠানে নেতা, অভিনেতা, শিল্পী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশ নেবেন। ২২ নভেম্বর ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। প্রথম দিন, 'সিয়াসাত অর শায়রি' অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিলেন ইমরান।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের যশ ভারতী পুরস্কারে ভূষিত কবি ও কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ী তাঁর কবিতা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। কবিতার জগৎ এবং রাজনীতিতে আসার কারণ নিয়ে কথা বলার সময় ইমরান বুদ্ধসেন শর্মার একটি কবিতা পাঠ করেন। তিনি বলেন, শুরুর দিনগুলোতে যখন কবিতা লিখতেন, তখন রাজনীতি নিয়ে মানুষ এভাবেই লিখত।
নিজের ব্যক্তিজীবনের কথাও তুলে ধরেন ইমরান। বললেন, 'আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই। তারপর যখন কবিতার পথ বেছেনিলাম, তখন তাদের মনে হল ছেলেটা খারাপ হয়ে গেছে।' ইমরান আরও বলেন, 'আমি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তখন আমি আমার পেশা হিসেবে কবিতাকে বেছে নিয়ে এখন রাজনীতির অংশ।' সাংবাদিকতা নিয়েও পড়াশোনা করেছেন ইমরান। কিন্তু এই পেশা বেছে নেননি।
রাজনীতির প্রসঙ্গে সোজাসাপটা নিজের অবস্থান জানালেন প্রতাপগড়ী। ইমরান বলেন, 'আমি একটি দলের সঙ্গে কাজ করছি, কোনও প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করি...আমার নিজস্ব নীতি আমি দল বদল করব না, রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমাদের নিজস্ব একটা আলাদা জগৎ আছে। রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, এটাই সবচেয়ে বড় রাজনীতি। আমি সংসদে গেলেও প্রথম কাজটি করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সংসদে বক্তৃতা দিয়ে। আমি হিন্দু বা মুসলমান হওয়ার ভান করে সেখানে যাইনি। আমি যৌবনে সেখানে গিয়েছি। যাঁরা নিপীড়িত হচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে আমি অবিরাম কথা বলছি।'