শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ফৈজান খান নামে এক ব্যক্তি। শাহরুখের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়ারও অভিযোগ ছিল ফৈজানের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশ ছত্তিশগড়ের রাইপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে।
এই মামলাই মুম্বই পুলিশ ফৈজান খানকে তলব করেছিল। কয়েকদিন আগে থানায় আসার কথাও ছিল তার। তবে সে আসেনি। ফৈজানের দাবি, তাকে একাধিকবার হুমকির মুখে পড়তে হয়। সেজন্য আসতে পারেনি। তার বয়ান যেন ভার্চুয়ালি রেকর্ড করা হয়। তবে মুম্বই পুলিশ সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি।
গত ৭ নভেম্বর বান্দ্রা থানায় একটি উড়ো ফোনে শাহরুখ খানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিবার্তা দেওয়া হয়। চাওয়া হয় ৫০ লক্ষ টাকাও। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তা ফৈজান নামের ওই ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রার ছিল। যদিও ফৈজান জানায়, তার ফোন কয়েকদিন আগে হারিয়ে গিয়েছে। কেউ তার ফোন ব্যবহার করে হুমকি দিয়েছে এসআরকে-কে।
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই ফইজান খান এর আগে শাহরুখের বিরুদ্ধে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। ফইজানের অভিযোগ ছিল, শাহরুখ দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ বা শত্রুতা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে 'আনজাম' নামে একটি ছবি মুক্তি পায় শাহরুখের। সেই ছবির দৃশ্যে অথবা শ্যুট চলাকালীন এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি ফইজানের।
এদিকে ফইজান সংবাদমাধ্যমকে জানায়, সে রাজস্থানের লোক। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অনেকে তার বন্ধু। সেই ধর্মে হরিণকে ভগবান রূপে দেখা হয়। সেখানে অন্য ধর্মের কেউ যদি হরিণ মারে তাহলে তা অপরাধ।'
প্রসঙ্গত, শাহরুখ খানের আগে খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমান খানও। তাঁকে একাধিকবার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী টাকাও চাওয়া হয়।