ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। শনিবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে সোমনাথ এক্সপ্রেসের দু'টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের বা আহত হওয়ার খবর নেই। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের প্রথম দু'টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। বর্তমানে যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। তাঁদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিআরও হর্ষিত শ্রীবাস্তব বলেন, 'ট্রেনটি ইন্দোর থেকে আসছিল। জবলপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেন ধীরগতিতে চলছিল। সেই সময় ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।'
সকাল ৫.৫০-এর দিকে এটি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
প্ল্যাটফর্মের কাছাকাছি, লাইনচ্যুত হওয়ায় অনেক যাত্রীই ট্রেন থেকে বেরিয়ে স্টেশনে চলে আসেন।
গত কয়েক মাসে একইভাবে বিভিন্ন ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বা সংঘর্ষের মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। বারবার কেন রেল দুর্ঘটনা ঘটছে তাই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বিরোধী দলগুলি। এমনই প্রেক্ষাপটে ফের ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় যে রেলের অস্বস্তি বাড়বে, তা বলাই যায়।
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সাধারণত যান্ত্রিক ত্রুটি, পরিকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি আবহাওয়াজনিত বা চালকের ভুলের থেকেও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ঘটনা এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষের নিয়মিত লাইন ও ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ, পর্যবেক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন। ভারতের রেল ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ও লম্বা হওয়ায় এটাই প্রযুক্তিবিদদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।