UPA-NDA Alliance Meeting: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য শাসক দল এবং বিরোধীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে । দুদিক থেকেই চলছে তাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ। এই পর্বে, সোমবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির আলোচনা শুরু হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকের স্থানে প্রথম পৌঁছান। বৈঠকের আগে সভাস্থলে মূল হলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সনিয়া ও মমতার মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়। সূত্রের খবর, বাম দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন মমতা। লালু যাদবও টিএমসির সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ততক্ষণ সবাই অপেক্ষা করেন। সে কারণে মিটিং একটু দেরিতে শুরু হয়েছে।
রাজ্যের ইস্যু আলাদা রাখবে সব দল
বৈঠকে বিরোধী ফ্রন্টের নাম নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়। সাধারণ মতামত ছিল যে নামের মধ্যে 'ভারত' শব্দটি থাকতে হবে। বাম দলগুলোর দাবি ছিল একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি করার। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলির বিষয়টি আলাদা রাখার কথাও বলা হয়েছিল। নতুন ফ্রন্টের সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধী এবং আহ্বায়ক হিসেবে নীতীশ কুমারের নাম আলোচনায় ছিল। যদিও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার সিলমোহর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকের পর সোনিয়া গান্ধী, লালু যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্টালিন ও নীতীশ কুমার চলে গেলেও বাকিরা সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। বৈঠকে ব্যানারে লেখা ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড-এর অর্থ 'আমরা একে অপরের হাত ছাড়ব না'।
২৬টি দল অংশ নিচ্ছে
বেঙ্গালুরুর একটি ফাইট স্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে। বিরোধী দলের নেতাদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজের আগে এই আলোচনা হয়। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬টি দলের নেতারা এতে অংশ নিয়েছেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন। মঙ্গলবার, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন বিরোধী নেতারা। এবার বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করতে নতুন আটটি দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১৭ টি বিরোধী দল প্রথম বৈঠকে অংশ নিয়েছিল
২৩ জুন পাটনায় বিরোধী ঐক্যের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক ডাকেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এতে ১৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। জনতা দল ইউনাইটেড, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, আম আদমি পার্টি, দ্রাবিড় মুনেত্র কাঝাগম, তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরের দল), এসপি, জেএমএম এবং এনসিপি যোগদান করেছিল।
এদিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের দিনই ৩৮টি দল নিয়ে বৈঠক করতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দিল্লিতে এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন। জেপি নাড্ডা বলেন, ক্ষমতা পাওয়ার জন্য নয়, সেবা করার জন্য এই বৈঠক হচ্ছে।
বিজেপি সভাপতি বলেছেন, "এনডিএ-র ২৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত এই শক্তি প্রদর্শনে যে ৩৮টি দল অংশ নিতে চলেছে। বিগত ৯ বছরে, এনডিএ-র সমস্ত দল এই জোটের উন্নয়ন এজেন্ডা, স্কিম, নীতিগুলি, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে তাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। দলগুলো এনডিএ-র দিকে উৎসাহ নিয়ে আসছে।''
১৯৯৮ সালে ২৪, এখন ৩৮ - বিজেপি
জেপি নাড্ডা বলেছেন যে মিত্ররা যারা এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তারাও ভারতকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে ফিরে আসছে এবং বিজেপি তার আদর্শের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৯৮ সালের এনডিএ জোটের ২৪ সদস্য বেড়ে এখন ৩৮ হয়েছে। এটা দল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার লক্ষণ । যদিও বিজেপি সভাপতি ৩৮ সহযোগীর নাম প্রকাশ করেননি।
আমাদের এজেন্ডা দেশ সেবা- বিজেপি সভাপতি
নাড্ডা আরও বলেছেন যে বিজেপি এবং এর প্রাক্তন সংগঠন জনসঙ্ঘের মনোযোগ সর্বদা তাদের আদর্শের দিকে। তিনি বলেন, “আমাদের এজেন্ডা দেশসেবা, আমরা কাউকে যেতে দিইনি। যারা চলে গেছে, আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বন্ধ করিনি, আমাদের জন্য বড় ছবি সবার সহযোগিতা, সবার উন্নয়ন।