দিলীপ ঘোষ এবার পরাজিত হয়েছেন। মেদিনীপুর আসন থেকে তাঁকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তাঁকে প্রার্থী করার জন্যই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। প্রকাশ্যেই একথা জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, দিলীপ মুখে না বললেও পরোক্ষে দোষারোপ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তবে বালুরঘাট আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ সৌজন্য দেখাতে ভুললেন না। দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করে মন্ত্রীর আসনে বসলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রীর আসনে বসেন সুকান্ত মজুমদার। শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও উত্তর পূর্বের উন্নয়ন মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে সুকান্তকে। দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেওয়ার আগে সুকান্ত প্রণাম করেন দিলীপ ঘোষকে। দিল্লিতে নিজের দফতরে যাওয়ার আগে সুকান্ত দিল্লিতে দিলীপের বাসভবনে যান। সেখানেই দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করেন তিনি। আর্শীবাদ নেন।
এদিকে সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অগ্নিমিত্রা পালদের নাম ঘোরাফেরা করছে ওই আসনের জন্য। যদিও এখনও বিজেপির তরফে এখনও এই বিষয়ে সরাসরি কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্যে বিজেপির নয়া সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে যখন গুঞ্জন শুরু হয়েছে ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপের সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, এবার সুকান্ত ও শুভেন্দুর নেতৃত্বেই রাজ্যে বিধানভা ভোট লড়েছে বিজেপি। তাতে ফল ভালো হয়নি। ২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকাকালীন ১৮ আসন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেখানে এবার সেই আসন সংখ্যাও ধরে রাখতে পারনি নরেন্দ্র মোদীর দল। সেদিক থেকে বিচার করলে দিলীপ ঘোষই রাজ্য বিজেপির সবথেকে সফল সভাপতি।
যদিও সুকান্তককে সভাপতি করার নেপথ্যে দিলীপ ঘোষের হাত ছিল বলেই খবর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তিনিই নাকি সুকান্তর নাম সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু তারপর তাঁদের সম্পর্ক যে খুব সরল গতিতে এগিয়েছে এমনটা নয়। শোনা যায়, দিলীপ ও সুকান্ত একে অন্যের বিরোধী।
সে যাইহোক না কেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করলেন সুকান্ত মজুমদার।