Advertisement

Isha Foundation: স্বেচ্ছাতেই আশ্রমবাসী ২ মহিলা, ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

স্বেচ্ছাতেই ইশা ফাউন্ডেশনের আশ্রমে থাকছেন। জানালেন দুই মহিলা। আর তারপরেই জগ্গি বাসুদেবের ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একটি মামলায় ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। 

সদগুরু জগ্গি বাসুদেব। (ফাইল ছবি)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 18 Oct 2024,
  • अपडेटेड 4:45 PM IST
  • স্বেচ্ছাতেই ইশা ফাউন্ডেশনের আশ্রমে থাকছেন, জানালেন দুই মহিলা।
  • জগ্গি বাসুদেবের ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
  • আগে একটি মামলায় ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। 

Isha Foundation: স্বেচ্ছাতেই ইশা ফাউন্ডেশনের আশ্রমে থাকছেন। জানালেন দুই মহিলা। আর তারপরেই জগ্গি বাসুদেবের ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একটি মামলায় ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। 

প্রধান বিচারপতি ডিআই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ একই সঙ্গে মাদ্রাজ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ খারিজ করে দেয়। এর আগে দুই মহিলার বাবা-মা একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তাতেই তাঁরা তাঁদের মেয়েকে জোর করে আটকে রাখার দাবি করেছিলেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট সেখানে পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায় বাতিল করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার জন্য এহেন কার্যক্রম করা যেতে পারে না।'

আলোচ্য দুই মহিলার বয়স ৩৯ ও ৪২ বছর। দুই মহিলার বাবা-মা পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেছিলেন, দুই মহিলাকে(তাঁদের মেয়ে) ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়, কোয়েম্বাটোরে ইশা ফাউন্ডেশনের আশ্রমে তাঁদের 'ব্রেন ওয়াশ' করা হয়েছিল। 

মাদ্রাজ হাইকোর্ট পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেয়। মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে কেসটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সেখানে মহিলাদের বিবৃতির ভিত্তিতেই রায় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলাদের বিবৃতি থেকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত যে, তাঁরা চাইলেই ইশা ফাউন্ডেশন ছেড়ে যেতে পারেন, সেই স্বাধীনতা তাঁদের রয়েছে। কিন্তু স্বেচ্ছাতেই তাঁরা আশ্রমে থাকছেন।

উল্লেক্ষ্য, এর আগে তামিলনাড়ু পুলিশও ইশা ফাউন্ডেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এক পাল্টা পিটিশনে, পুলিশ ইশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক নিঁখোজ কেসের উল্লেখ করে। 

কোয়েম্বাটোরের পুলিশ সুপার কে কার্তিকেয়ানের মতে, গত ১৫ বছরে আলন্দুরাই থানায় ৬টি নিখোঁজ ব্যক্তির কেস রেজিস্টার্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি কেস বন্ধ। একটি এখনও তদন্তাধীন। 

Advertisement

শুক্রবার শুনানির সময় ইশা ফাউন্ডেশনের পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, 'এই দুই মহিলা স্বেচ্ছায় আশ্রমে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের তখন ২৪ এবং ২৭ বছর বয়স ছিল। অবৈধভাবে আটকে রাখার দাবি ভিত্তিহীন।'

'মহিলারা ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনের মতো পাবলিক ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মা-বাবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন,' বলেন মুকুল রোহাতগি। 

দুই মহিলার সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপচারিতার পর প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'আদালত দুই মহিলার সঙ্গে কথা বলেছে এবং তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে।' আদালত জানায়, দুই মহিলার কথার ভিত্তিতে এই মামলাটি ক্লোজ করাই যুক্তিযত। কাঁর তাঁরা কোনও বলপূর্বক নয়, বরং স্বেচ্ছাতেই আশ্রমে আছেন। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, মহিলা ও নাবালকদের ক্ষেত্রে একটি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (ICC) থাকা প্রয়োজন। তিনি মুকুল রোহাতগিকে ইশা ফাউন্ডেশনকে এই বিষয়গুলি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে নির্দেশ দেন। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement