Tamli Nadu Brahmin Youth: বেজায় সংকটে পড়েছেন তামিলনাড়ু (Tamli Nadu)-র ৪০ হাজারের বেশি ব্রাহ্মণ যুবক। কারণ রাজ্যের মধ্যে তাঁদের জন্য উপযুক্ত পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই তো ভিন রাজ্যের শহর যেতে হচ্ছে তাঁদের। ২হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে তামিলনাড়ুর ব্রাহ্মণ সঙ্ঘ উত্তরপ্রদেশের, বিহারে পাত্রী পছন্দ করছে।
বিশেষ কর্মসূচি
ব্রাহ্মণ সঙ্ঘ এক বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্যই উপযুক্ত প্রার্থীর খোঁজে ঐ দুই রাজ্যে এক বিশেষ অভিযান শুরু করে দিয়েছে। চেন্নাই থেকে লখনউয়ে দূরত্ব প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার।
সংবাদসংস্থা জানাচ্ছেন, রাজ্যে তামিল ব্রাহ্মণ কন্যার কম রয়েছে বলে ওই সংগঠন উত্তরপ্রদেশ আর বিহারের উপযুক্ত পাত্রী খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন।
তামিলনাড়ু ব্রাহ্মণ অ্যাসোসিয়েশন (Thambraas)-এর সভাপতি এন নারায়ণন সংগঠনের পত্রিকাতে বলেছেন, আমরা আমাদের গোষ্ঠীর তরফ থেকে বিশেষ ব্য়বস্থা করেছি।
এরপর তিনি বেশ কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়েছে। সেখানে বলছেন, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৪০ হাজারের বেশি তামিল ব্রাহ্মণ বিয়ে করতে পারছে না। এর কারণ কিছুই না। এর কারণ হল, তাঁদের জন্য উপযুক্ত পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, আর তাই আটকে গিয়েছে তাঁদের বিয়ে। তামিলনাড়িতে ব্রাক্ষ্ণণ পাত্রী নেই। তিনি বলেন, এই বয়সের যদি বিবাহযোগ্য বয়স ১০ জন ছেলে থাকে, তাহলে সেই তুলনায় মেয়ে রয়েছে ৬ জন।
উঠে আসছে ভিন্ন মত
ওই সংগঠনের সভাপতি বলেছেন, এই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দিল্লি, লখনউ এবং পাটনায় উপযুক্ত পাত্রী খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। এ কাজে তাঁদেরই শামিল করা হবে, যাঁরা হিন্দি লিখতে পড়তে এবং বলতে পারেন। তিনি আরও বলেছেন, লখনউ আর পাটনায় অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে ঘটনা হল এই নিয়ে অন্য মতও উঠে আসছে। শিক্ষাবিদ এম পরমেশ্বরন জানিয়েছেন, এ কথা ঠিক, বিবাহযোগ্য হলেও অনেকজ পাত্রের জন্য পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে উপযুক্ত পাত্রী না পাওয়ার এটাই একমাত্র কারণ নয়।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে মা-বাবারা বিয়েতে 'ধুমধাম আর শো' করার আশা করেন! তিনি প্রশ্ন করেছেন, ছেলের মা-বাবা কী চান, এক জৌলুস, বিয়ের সময় প্রচন্ড হইহল্লা। সাধারণ ভাবে তাঁরা বিয়ে কেন করতে পারবেন না? মন্দিরে বা বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করল অসুবিধা কোথায়?
তিনি আরও জানিয়েছেন মেয়ের পরিবারকে বিয়ের পুরো খরচই দিতে হয়। আর তাই এটা যেন তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের কাছে এক অভিশাপ। ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়াটা যেন সোশাল স্ট্যাটাস হয়ে গিয়েছে। তবে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের আরও আধুনিক হতে হবে। আর এইসব এখন অস্বীকার করতে হবে।