লোকসভা নির্বাচনে মোদী বাহিনীর '৪০০ পারের' স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। শরিকদের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হয়েছে বিজেপিকে। এই প্রেক্ষপটে ফল নিয়ে বিজেপিকে কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস। সঙ্ঘের মুখপত্রে বলা হয়েছে যে, ভোটের ফল একটা 'রিয়েলিটি চেক'।
বিজেপির নেতত্বের সমালোচনা করে বলা হয়েছে যে, ভোটের ফল অতিরিক্ত উৎসাহী বিজেপির নেতা-কর্মীদের কাছে রিয়েলিটি চেক। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এতটাই বিভোর ছিলেন যে, সাধারণ মানুষের কথা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি।
আরএসএসের মুখপত্রে এ-ও বলা হয়েছে, ভোটের ফলে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব দক্ষ কর্মীরা অক্লান্ত ভাবে কাজ করেছেন, তাঁদেরকেই উপেক্ষা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা ভোটে ৪০০টিরও বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। কিন্তু এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩টি আসন। বিজেপি একক ভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। অর্থাৎ, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া পেয়েছে ২৩৪টি আসন। শেষে শরিকদলের উপর নির্ভর করে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে হয়েছে মোদীকে।
অন্য দিকে, তৃতীয় মোদী সরকারকে বিশেষ বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। হিংসা বিদীর্ণ মণিপুরকে শান্ত করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে,সোমবার নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন আরএসএস প্রধান। বস্তুত, সোমবারই তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। তারপরে মন্ত্রীদের বিভিন্ন দফতর বণ্টন করা হয়েছে।
গত ১ বছর ধরে অশান্ত রয়েছে মণিপুর। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গোলমালের ঘটনা ঘিরে সরগরম হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। মণিপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবিরকে। এই প্রেক্ষাপটে সে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে মোদী সরকারকে যেভাবে বার্তা দিলেন ভাগবত, তা এই পর্বে আলাদা মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।