যারা রামভক্তদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, তারাও বলছে রাম মন্দিরে যাবে। এমনটাই বললেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্য। তিনি আরও বলেন, 'এর থেকেই প্রমাণ হয় যে আমাদের(BJP) কাজটা একেবারে সঠিক ছিল। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একইসঙ্গে মণ্ডল ও কমণ্ডল। তিনি সবকা সাথ, সবকা বিকাশে বিশ্বাস করেন এবং আজকের যুগ সবকা সাথ, সবকা বিকাশের। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের উন্নয়নের নয়।'
নিষাদ রাজ ও মাতা শবরী ছাড়া রামের লীলা অসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মাতা শবরীর উল্লেখ করে একথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, 'দেখুন, ভগবান রাম ও তাঁর লীলা মাতা শবরীকে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। ভগবান রাম শুধু রাম নন, তিনি জাতি, রাম মন্দির... রাম মন্দির নয়, এটা সমগ্র একটা জাতির মন্দির।'
এদিন বিরোধীদেরও এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর যদি সোমনাথ মন্দির সংস্কার করা হয়, তাহলে অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী কেন বাদ গেল? এটা কংগ্রেসের ক্ষুদ্র চিন্তাভাবনার নিদর্শন। কাশী ও মথুরা থেকে চোখ ফেরানো যায় না। সর্দার প্যাটেল যদি গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের সংস্কার করতে পারেন তাহলে কংগ্রেস কেন অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বাদ দিল?'
তিনি বলেন, একসময়ে 'এসপি সরকার রাম ভক্তদের উপর গুলি চালিয়েছিল... আমাদের কল্যাণ সিং সরকার একটি গুলিও চালায়নি। বিতর্কিত কাঠামো ভেঙে ফেলার পর আমাদের চার রাজ্যের সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আমি গর্বিত যে এই বিতর্কিত কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে।'
কেশব প্রসাদ বলেন, 'যারা রামকে কাল্পনিক মনে করতেন তারাও বলছেন মন্দিরে আসবেন। এখন যদি তাদের ট্রাস্টে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, তখন কিন্তু তারা আসতে প্রস্তুত নন। কিন্তু তাদের যদি ইফতারের দাওয়াত দেওয়া হত, তাহলে কিন্তু তারা যেতে অস্বীকার করত না।'
প্রস্তুতি তুঙ্গে
আমি আবেগপূর্ণ। আমার মন্দির দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তাই আমি অতি খুশি। উত্তরপ্রদেশে রামলালার মন্দির, গরিবদের বাড়ি, চিকিৎসা কেন্দ্র, সবকিছুই তৈরি।
'পতাকা আমিও কিনেছি'
রাম লালার পুজোর অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। ২২ জানুয়ারি মাত্র ২২ সেকেন্ডে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হবে। এই দিন, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাম ভক্তদের তীর্থস্থানগুলিতে শ্রম দান করার আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমি এখানে আসার পথে রাস্তায় গেরুয়া পতাকা কেনার জন্য লম্বা লাইন ছিল। আমিও পতাকা কিনেছি।
ইউপিতে ৮০টি আসনে জয়ী হব
আসন্ন নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ৪০টি আসনের সবকটিতেই আমরা জয়ী হব।
বিরোধীরা রামকে ঘৃণা করতেন
কেশব প্রসাদ মৌর্য আরও বলেন, রাম আমাদের বিশ্বাসের কেন্দ্র। রাম কারও একার নয়। মোদীকে ঘৃণা করতে গিয়ে বিরোধীরা রামকেও ঘৃণা করছে। আমি ১৯৮৩ সাল থেকে রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, অযোধ্যায় নিরাপত্তার খুব কড়াকড়ি করা হবে। আজ অযোধ্যা ত্রেতাযুগের অযোধ্যার মতো হয়ে গিয়েছে। ভগবানের গৃহে আসাটা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।