বাড়ির ছোট ছেলে একটি মুরগি বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেয়। অনেকক্ষণ তাঁকে বের হতে না দেখে বড় ভাইও জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তিনিও বের না হলে স্থানীয় একটি ছেলেও কুয়োর ভেতরে চলে যায়। তাঁরও কোনও সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে আসামের কাছাড় জেলার লখিমপুর এলাকায়। ট্রাক্টর টিলা বসতিতে বসবাসকারী এক পরিবারের মোরগ হঠাৎ কূপে পড়ে যায়। তা বাঁচাতে পরিবারের দুই ভাই মনজিৎ দেব ও প্রসেনজিৎ দেব কুমার ঝাঁপিয়ে পড়ে মুরগিটিকে বাঁচাতে এবং তুলে আনেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় তাদের কোনো নড়াচড়া না পেয়ে স্থানীয় অমিত সেন নামে এক ছেলে কুয়োর ভেতরে নামেন। চলে যাওয়ার পর তার কাছ থেকে কোনো নড়াচড়া না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা মনে করেন কিছু একটা ভুল হয়েছে। এরপর স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়। এরপর স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এসডিআরএফকে ডাকে। এরপর উদ্ধার অভিযানে দলটি কুয়োর ভেতর থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তথ্যমতে, কূপের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
এসপি কাছাড় নুমাল মাহাত্তা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কুয়োর ভিতরে একজন লোক পড়েছিল। তাকে বাঁচাতে আরও দুজনকে পাঠানো হয়। এরপর তিনজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারপরে তাদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দেয়, তারপরে আমাদের এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের মৃতদেহ কুয়া থেকে বের করে। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।