ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল কিছু জানায়নি, এদিকে অসম সরকার ঘোষণা করে দিচ্ছে এনআরসিতে আবেদন না করলে আধার কার্ড মিলবে না? এটা কীকরে সম্ভব? এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁর আরও প্রশ্ন আধার নিয়ে কেন্দ্রের যে নিয়মনীতি, ভিত্তি এই নিয়ম তার পরিপন্থী।
এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, "দ্বিতীয়ত, ভারতের যারা নাগরিক নয় তারাও ১২ মাসের মধ্যে ১৮২ দিন থেকে আধার কার্ড পেয়ে যায়, আবেদন করার আগেই। যদি সরকার একজন ব্যক্তিকে অবৈধ বাসিন্দা ঘোষণা না করে তারা কীভাবে আধার প্রত্যাখ্যান করতে পারে? বিজেপি আর হিমন্ত বিশ্বশর্মা যা পারছে তাই করছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেন এনআরসিতে আবেদন ছাড়া আধার কার্ড মিলবে না। যারা এনআরসির জন্য আবেদন করেননি তাদের আধার কার্ড দেওয়া হবে না। অসম সরকার আরও জানায়, আবেদনকারী বা তার পরিবার যদি এনআরসি-র জন্য আবেদন না করে থাকে তবে আধার পাওয়ার জন্য সমস্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার মধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় অসম সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন তৃণমূলের সুস্মিতা।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ উদ্বেগের বিষয়
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, "অসম পুলিশ, ত্রিপুরা পুলিশ এবং বিএসএফ গত দু'মাসে অনুপ্রবেশ আটকেছে। তাই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমরা এই বিষয়ে আরও কঠোর হব।"
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে, তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকারের প্রশাসন বিভাগ আধার আবেদনকারীদের যাচাইয়ের কাজ দেখবে। প্রতিটি জেলার অতিরিক্ত জেলা কমিশনার এই কাজের জন্য দায়ী থাকবেন।