অষ্টদশ লোকসভা অধিবেশনের তৃতীয় দিন বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের লোকসভা নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দ্বিতীয়বার লোকসভার স্পিকার হন ওম বিড়লা। এনডিএ-র সমর্থমে ধ্বনি ভোটে তাঁকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। স্পিকার আসনে বসেই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়লেন ওম বিড়লা। 'শাসকদলের কাছে মাথা নত করেন বলে' অভিযোগ তুলে স্বাগত তাঁকে জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার সুদীপ বলেন, "দ্বিতীয়বার স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই। স্যর, আমি দ্বাদশ লোকসভায় প্রথম সংসদে পা রাখি। অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। আমার মনে হয়, এই সংসদ সঠিকভাবে চলত না, যদি না বিরোধী থাকত। আমরা খুশি যে আমাদের দেশ সংসদে একজন বিরোধী দলনেতা পেয়েছেন। সংসদে শাসক দলকে বিরোধীদের সম্মান করতে হবে। আপনার মধ্যে অনেক ইতিবাচক ইচ্ছে আছে, তবে মাঝেমধ্যে আপনাকে শাসক দলের কাছে মাথা নত করতে দেখেছি। স্যর, ১৫০ জন সাংসদকে এখানে একদিনে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী অনেক বিল এখানে এনেছেন, আমরা মেনে নিয়েছি, সহযোগিতা করেছি, তবে অনেক বিল কোনও আলোচনা ছাড়াই পাশ হয়েছে। বিল নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সঠিকভাবে আলোচনা করা উচিত। বিরোধীদের উপেক্ষা করা উচিত নয়। ১৪০ কোটি মানুষ যেন কিছু আশা পায়। এটাই আমাদের লক্ষ্য।"
বুধবার ধ্বনিভোটে লোকসভার স্পিকার হিসাবে পুনর্নিবাচিত হন NDA প্রার্থী ওম বিড়লা। তাঁকে রীতিমাফিক হাত মিলিয়ে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কিরেণ রিজিজু এবং রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য রাখার পরেই বলতে শুরু করেন রাহুল। রাহুল বলেন, 'সরকারের অবশ্যই রাজনৈতিক শক্তি আছে। কিন্তু বিরোধীরাও ভারতের মানুষের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধিত্ব করে। আর এইবার আগেরবারের তুলনায় আরও বেশি করে দেশের মানুষের কন্ঠের প্রতিনিধিত্ব করছে বিরোধীরা।'
এদিন বিরোধীদের নিশানায় ফের বিরোধী ছাড়া বিল পাস, মণিপুর ইস্যু উঠে আসে।