Advertisement

'হিন্দু রাষ্ট্রের সংশোধনী আনতে চান?' ধর্ম নিরপেক্ষতার পাঠ পড়িয়ে বিজেপিকে একহাত মহুয়ার

ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ট্য়ুইটারে বিজেপির (BJP) কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ট্যুইটারে মহুয়া বলেন, 'বিজেপি শুনুন, ভারতের আজকের সংবিধান অনুযায়ী তাতে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি রয়েছ। অথএব, দয়া করে সেটা মেনে চলুন। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সংশোধনী আনতে চান? তাহলে ঠিক আছে, চেষ্টা করুন। কিন্তু ততক্ষণ ভারত হল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, সুতরাং এর আইনকে সম্মান করুন।' 

মহুয়া মৈত্র
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 24 Jan 2021,
  • अपडेटेड 8:54 AM IST
  • 'ধর্মনিরপেক্ষতা' নিয়ে বিজেপির সমালোচনায় মহুয়া
  • "সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা রয়েছে, মেনে চলুন"
  • ট্যুইটারে পোস্ট তৃণমূল সাংসদের


ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ট্য়ুইটারে বিজেপির (BJP) কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ট্যুইটারে মহুয়া বলেন, 'বিজেপি শুনুন, ভারতের আজকের সংবিধান অনুযায়ী তাতে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি রয়েছ। অথএব, দয়া করে সেটা মেনে চলুন। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সংশোধনী আনতে চান? তাহলে ঠিক আছে, চেষ্টা করুন। কিন্তু ততক্ষণ ভারত হল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, সুতরাং এর আইনকে সম্মান করুন।' 

 

প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার আগেই ওঠে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে কার্যত কোনও ভাষণই দেননি তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে শুধু বলেন, 'আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কাউকে ডেকে এই ভাবে অপমান করার কোনও মানে হয় না। এটা সরকারি অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক নয়। আমি অপমানিত। কোনও কথা বলতে চাই না। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।'

এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। শুরু হয়ে যায় শাসক বিরোধী তরজা। তার মাঝেই সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগানের তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। অধীর বলেন, 'এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের পদের অবমাননা করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা একজন সম্মানীয় মহিলাকে অপমান করা মোটেই উচিৎ নয়।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ আছে। তাই বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা মেনে নেওয়া যায় না।' ওই স্লোগানে রামের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বদলে বাংলার সংস্কৃতির উপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
 

 

Advertisement
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement