Train Ticket Cancellation: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার পর ব্যাপক হারে বেড়েছে টিকিট বাতিলের (Ticket Cancellation) সংখ্যা, এমনই দাবি করেছেন এক কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে কংগ্রেসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দাবি করেছিল, ট্রেন দুর্ঘটনার পরে হাজার হাজার মানুষ তাদের টিকিট বাতিল করেছে। কংগ্রেসের ট্যুইটের জবাবে, IRCTC জানিয়েছে এই দাবি মিথ্যে। বাতিলের সংখ্যা বাড়েনি।
শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহদের সংখ্যা ১,১০০। এই ঘটনায় কেন্দ্রকে বারবার নিশানা করছে কংগ্রেস। ওড়িশার কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভক্ত চরণ দাস সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী সরকারকে নিশানা করেন। তিনি দাবি করেন, এমন ট্রেন দুর্ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেনি, দুই শতাধিকের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এই ঘটনা সবাইকে ব্যথিত করেছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ তাদের টিকিট বাতিল করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ নয় বলেও দাবি করেন।
IRCTC পরিসংখ্যান সামনে রেখেছে
ভক্ত চরণ দাসের সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিওও শেয়ার করেছেন কংগ্রেস। কিন্তু ভক্তচরণ দাসের দাবিকে ভুল বলে দাবি করেছে IRCTC। তারা জানিয়েছে, এটা আসলে ভুল। বাতিল বাড়েনি। এদিকে বাতিল করা টিকিট ১ জুন থেকে ৩ জুন ৭.৭ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষে এসেছে বলে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটে?
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বালেশ্বর বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে। চেন্নাই থেকে হাওড়াগামী (১২৮৪১) করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে হয়। এর পর করমণ্ডলের অনেক কোচ লাইনচ্যুত হয়। পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে এই কোচগুলির সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১,১০০ জন। শতাধিক মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন অর্থাৎ আইআরসিটিসি ভারতীয় রেলের একটি সহযোগী সংস্থা। রেলপথ মন্ত্রক নিজেই এটি প্রতিষ্ঠা করেছে। IRCTC-র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেলে ভ্রমণের জন্য অনলাইন টিকিট বুক করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ভ্রমণের সময় খাবারের অর্ডারও দিতে পারেন।