আরজি করকাণ্ডে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই আবহে ফের ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। ছত্তীশগড়ে এক আদিবাসী মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীশগড়ের রায়গড় জেলায়। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ অগাস্টের ঘটনা। রাখিবন্ধনের পর এলাকায় মেলা দেখতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে অপহরণ করে ৮ যুবক। একটি পুকুরে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর বাড়ি ফিরে সবটা জানান নির্যাতিতা। অভিযুক্তরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি। ঘটনার পর পলাতক ছিল অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরজি করকাণ্ডের আবহে দেশে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ে১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইনস্টাগ্রামে কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয় যুবকের। সেই আলাপ গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। মুম্বইয়ে গোরেগাঁও এলাকার একটি হোটেলে কাজ করেন যুবক। কিশোরীকে গুজরাটে নিয়ে যান যুবক। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। পরে নিজে থেকেই ফিরে আসে কিশোরী। বাড়িতে ঘটনার কথা জানান। তারপরেই তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে ২ শিশুর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে।
গত সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের নার্সের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩১ জুলাই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ৮ অগাস্ট নার্সের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজস্থান থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩১ জুলাই উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন নিহতের বোন। তারপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত ৮ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের বিলাসপুর শহরে ঝোপ থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নার্সকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।রুদ্রপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন ওই নার্স। গত ৩০ জুলাই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কাজ সেরে বাড়ি ফিরছেন তিনি। রুদ্রপুরের কাছে বিলাসপুর এলাকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজের সেই সূত্র ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপরেই উদ্ধার করা হয় দেহ। তদন্তে নেমে ধর্মেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রীকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় নার্সকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের পর নির্যাতিতার মোবাইল ফোন এবং ৩০ হাজার টাকা লুট করে অভিযুক্ত।